কোপা আমেরিকার ফাইনাল থেকে মাত্র এক ধাপ দূরে আর্জেন্টিনা। টানা দুই কোপা আমেরিকা জয়ের জন্য আর দুই ধাপ পাড়ি দিতে হবে আর্জেন্টিনাকে। সেখানে প্রথম ধাপে আর্জেন্টিনা সামনে পাবে উত্তর আমেরিকার দল কানাডাকে। ফিফা র্যাংকিংএ আর্জেন্টিনার চেয়ে বেশ পিছিয়ে কানাডা। তবে এর জন্য কানাডাকে মোটেও ছোট করে দেখা যাবেনা। প্রথমবারের মত এই আসরের সেমিতে এসেছে কানাডা। সেখানে টুর্নামেন্টের শুরুর ম্যাচে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে দেখায় দারুন খেলা। এছাড়া পেরু, চিলি ও ইনফর্ম ভেনিজুয়েলাকে হারিয়ে এই আসরের সেমিতে তারা।
তাই কানাডার বিপক্ষে জয় পেতে হলে শক্তিশালী আক্রমণ লাইনআপের বিকল্প নেই আর্জেন্টিনা দলের। আর সেখানেই কোন তিনজন নিয়ে মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা, সেটি এখনও চুড়ান্ত নয়। একমাত্র লিওনেল মেসি দলে জায়গা নিশ্চিত করেছেন। যদিও সেভাবে ফর্মে নেই এই আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। তবে বড় ম্যাচে মেসি জ্বলে উঠবেন এটাই চাওয়া সবার।
মেসির সাথে একাদশে কোন দুইজন থাকবেন সেটাই প্রশ্ন। শেষ ম্যাচে বামদিকে খেলেছেন নিকো গঞ্জালেস। এই কোপা আমেরিকায় তার পারফর্মেঞ্চে বিরক্ত দর্শকরা। আক্রমণে ধার নেই, শুধু ব্যাকপাস করেন বারবার। এর বাইরে ডিফেন্সেও ফাউল করেন এলোমেলো। সব মিলিয়ে বর্তমান পারফর্মেঞ্চে নিকো দলে থাকবেন কিনা তা নিয়ে আছে প্রশ্ন।
আর সেখানেই সুযোগ পেতে পারেন এনহেল ডি মারিয়া। বড় মঞ্চে ডি মারিয়ার পারফর্মেঞ্চ নতুন কিছু নয়। এই আসরে গোল না পেলেও এসিস্ট আছে ডি মারিয়ার। আক্রমণভাগে আগের মত ধার না থাকলেও নিকো গঞ্জালেসের চেয়ে এখনও দারুণ খেলেন ডি মারিয়া। বিশেষ করে ডি মারিয়ার লেট রান ও ফিনিশিং আর্জেন্টিনা দলের জন্য আর্শীবাদ নিয়ে আসবে।
এই দুইজনের সাথে নাম্বার নাইন পজিশনের লড়াইয়ে আছেন দুইজন। হুলিয়ান আলভারেজ নাকি লাউতারো মার্টিনেজ, এই দুইজনের মাঝে কে খেলবেন তা নিয়ে আছে প্রশ্ন। কোপা আমেরিকায় ছন্দে আছেন লাউতারো। এই আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। তবে মুল একাদশের চেয়ে বদলি নেমেই বেশি ইম্প্যাক্ট রাখছেন তিনি। শেষ ম্যাচে মুল একাদশে তেমন করতে পারেননি সুবিধা। আগামী ম্যাচে তাই শুরুর একাদশে থাকবেন আলভারেজ। আর বদলি হিসেবেই দেখা যেতে পারে লাউতোরোকে।
সব মিলিয়ে এই এটাকিং লাইনআপ নিয়েই কানাডার বিপক্ষে জয়ের উদ্দেশ্যে মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা। এবার দেখা যাক, সেখানে কেমন করে এই এটাকিং লাইনআপ।