October 9, 2024
House #1, Road #17, Rupnagar Residential Area, Mirpur, Dhaka-1216
ক্রিকেট বাংলাদেশ

শেষ দিনে বাংলাদেশের দরকার তিন উইকেট

ব্যাট হাতে বড় পুঁজি না গড়তে পারলেও সিলেট টেস্টের চতুর্থ দিনটি স্বপ্নের মতো কেটেছে বাংলাদেশের। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চতুর্থ দিন শেষে জয়ের দ্বারপ্রান্তে টাইগাররা।

 

৩৩২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে কিউইদের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১১৩ রান। জয়ের জন্য ব্ল্যাক-ক্যাপসদের প্রয়োজন আরও ২১৯ রান। আর বাংলাদেশের প্রয়োজন মাত্র ৩ উইকেট।

 

দেশের মাটিতে কিউইদের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয়ের কীর্তিতে বাংলাদেশের অন্যতম বাধা ড্যারিল মিচেল। ৪৪ রানে অপরাজিত আছেন এই কিউই ব্যাটার। ৭ রানে তার সঙ্গী ইশ সোধি।

 

প্রথম ইনিংসে চার উইকেট নিয়ে ব্ল্যাক-ক্যাপসদের ধসিয়ে দিয়েছিলেন তাইজুল। দ্বিতীয় ইনিংসেও বল হাতে চমক দেখাচ্ছেন বাঁহাতি এই স্পিনার। ডেভন কনওয়ে, কেন উইলিয়ামসনের পর টম ব্ল্যান্ডেলকেও ফিরিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া শরিফুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাঈম হাসান নিজের ঝুলিতে একটি করে উইকেট পুরেছেন।

 

শুক্রবার বাংলাদেশের দেওয়া ৩৩২ রানের জবাবে খেলতে নেমে চতুর্থ দিনের চা-বিরতি পর্যন্ত ৩ উইকেটে ৩৭ রান করে কিউইরা।

 

টম ল্যাথামকে শূন্যতে শিকার করে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন পেসার শরিফুল ইসলাম। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান উইলিয়ামসনকে ১১ রানে বিদায় দেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ২ রান করে স্পিনার মিরাজের শিকার হন হেনরি নিকোলস। ৩০ রানে ৩ উইকেট পতন হয় নিউজিল্যান্ডের।

 

এরপর ক্রিজে আসেন নিকোলস। তবে তাকেও বেশিক্ষণ টিকতে দেননি মিরাজ। নিকোলসকে নাঈমের তালুবন্দী করেন এই স্পিনার। নিকোলসের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ২ রান।

 

এরপর তাইজুলের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে সাজঘরে ফেরেন ডেভন কনওয়ে ও টম ব্লান্ডেল। দীপুর হাতে ক্যাচ দিয়ে কনওয়ে (২২) ও ৬ রানে সোহানের হাতে কটবিহাইন্ড হয়ে ফেরেন ব্লান্ডেল। এতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে কিউইরা।

 

ষষ্ঠ উইকেটে ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন ড্যারিল মিচেল। কিন্তু শেষ বেলায় ফিলিপসকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন নাঈম হাসান। ২৬ বলে ১২ রান করে ফেরেন উইকেটকিপার এই ব্যাটার। এরপর কাইল জেমিসনও ক্রিজে এসে স্থায়ী হতে পারেননি। তাতে ১০২ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে ব্ল্যাক-ক্যাপসরা।

 

এর আগে, নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩৮ রানে অল-আউট হয় বাংলাদেশ। দলের পক্ষে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ১০৪, মুশফিকুর রহিম ৬৭ ও মেহেদি হাসান মিরাজ অপরাজিত ৫০ রান করেন। নিউজিল্যান্ডের স্পিনার অ্যাজাজ প্যাটেল ১৪৮ রানে ৪ উইকেট নেন।

 

এরও আগে, প্রথম ইনিংসে টাইগারদের তিন শ’ ছাড়ানো পুঁজি এনে দিতে ৮৬ রানের ইনিংস খেলেন জয়। এ ছাড়া ৩৭ করে রান যোগ করেন শান্ত ও মুমিনুল। শাহাদাত ২৪, মিরাজ ২০ ও সোহান খেলেন ২৯ রানের ইনিংস।

 

কিউইদের হয়ে প্রথম ইনিংসে ১০৪ রানের ইনিংস খেলেন উইলিয়ামসন। মিডল-অর্ডারে ড্যারেল মিচেল ৪১ ও ফিলিপস ৪২ রানের ইনিংস খেলেন। এ ছাড়া জেমিনসন ও সাউদির ব্যাট থেকে আসে ২৩ ও ৩৫ রানের ইনিংস।

 

প্রথম ইনিংসে ব্ল্যাক-ক্যাপসদের খণ্ডকালীন অফ-স্পিনার ফিলিপস তুলে নেন ৪ উইকেট। জেমিনসন ও অ্যাজাজ প্যাটেল দুটি করে উইকেট নেন। অন্যদিকে বাংলাদেশের হয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। এ ছাড়া গোল্ডেন হ্যান্ড বনে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে ৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট মুমিনুল হক। আর একটি করে উইকেট শিকার করেন শরিফুল ইসলাম-মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাইম হাসান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *