আইপিএলে শেষ ম্যাচে বাজে ভাবে হেরেছে মোস্তাফিজের চেন্নাই সুপার কিংস। লক্ষ্মৌর বিপক্ষে তেমন কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেনি বোলাররা। অধিনায়ক লুকেশ রাহুল ও ডি-কক একাই থামিয়ে দেয় চেন্নাই সুপার কিংসের পুরো বোলিং ইউনিটকে। দুজন মিলে গড়েছিলেন ১৩৪ রানের বিশাল জুটি। ডি-কক ৫৪ রানে থামলেও রাহুল করেছিলেন ৮২ রান। ম্যাচে খরুচে ছিলেন কাঁটার মাস্টারও। নিজের চার ওভারের কোঠা পূরণ করে রান দেন ৪৩, উইকেট পান মোটে ১ টি। তবে, এবার সেই বদলা নেওয়ার সুযোগ মোস্তাফিজের সামনে, সাথে প্রতিশোধ নিতে মুখিয়ে আছে চেন্নাই সুপার কিংসও। নিজেদের ঘরের মাঠে আগামী ম্যাচে মুখোমুখি হবে লক্ষ্মৌর বিপক্ষে।
এই ম্যাচেও চেন্নাইয়ের বিপদের কারন হতে পারে প্রতিপক্ষের দুই ওপেনার লুকেশ রাহুল ও কুইন্টল ডি কক। দুজনই পুরো আইপিএলে আছেন দারুণ ছন্দে। গত ম্যাচের পার্ফমও বাড়তি আত্মবিশ্বাসী করে রেখেছে দুজনকেই। পাশাপাশি, গত ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন ক্যারিবিয়ান হার্ড হিটার ব্যাটার নিকোলাস পুরানও। তিনি খেলেছিলেন ১২ বলে ২৩ রানের ছোট ক্যামিও। তাছাড়া, অজি অলরাউন্ডার স্টোইনিসকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ গ্রহন করতে না হলেও, তার সামর্থ্যও বিপদের কারন হতে পারে ধোনিদের জন্য। এদের বাহিরে তরুন ভারতীয় মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান আয়োশ বাধুনি আছেন দুর্দান্ত ফর্মে, তিনিও গলার কাটা হতে পারেন। তবে, সবচেয়ে পজিটিভ দিক হলো লক্ষ্মৌর বোলাররা গত ম্যাচে কামব্যাক করেছে।
এদিকে চেন্নাইয়ের মাঠ হয়ে থাকে বরাবরই স্লো। এই আসরের আগের ম্যাচ গুলোর তিকে তাকালে দেখা যায়, বোলাররা বাড়তি সুবিধা পায় এখান থেকে। বিশেষ করে মোস্তাফিজ তো অনবদ্য এখানে। তাই এই ম্যাচেও তার দিকে নজর থাকবে চেন্নাইয়ের সমর্থকদের। তাছাড়া, দলটির সফলতাও নির্ভর করবে তার বোলিংয়ের উপর। কারন, এখন পর্যন্ত চেন্নাইয়ের সবচেয়ে সফল বোলার টাইগার পেসার। আছেন আসরের চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তালিকায়। এর বাহিরে চেন্নাইয়ের ব্যাটিং অর্ডারকেও মুখ্য ভূমিকা রাখতে হবে লক্ষ্মৌর বিরুদ্ধে। অধিনায়ক রুতুরাজ গাইকোয়াদের পাশাপাশি মঈন আলী, রবিন্দ্রদেরও জ্বলে উঠতে হবে ব্যাট হাতে।