মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভারত বিশ্বকাপের ৩৯তম ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৯১ রান সংগ্রহ করেছিল আফগানিস্তান। আফগানদের হয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ১২৯ রানে অপরাজিত থাকেন ইব্রাহিম জাদরান।
জবাবে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে একশো রানের আগেই ৭ উইকেট হারিয়ে হারের শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে ম্যাক্সওয়েলের ব্যাটিং তাণ্ডবের সাথে প্যাট কামিন্সের দায়িত্বশীল ইনিংসে ৪৬ ওভার ৫ বলে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া। দলের হয়ে ২০১ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস খেলেছেন ম্যাক্সওয়েল।
২৯২ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে নাভিন উল হক, আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও রশিদ খানের জোড়া শিকারে ৯১ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। ট্রাভিস হেড ০, মিচেল মার্শ ২৪, ডেভিড ওয়ার্নার ১৮, মার্নাস লাবুশেন ১৪, জশ ইংলিশ ০, মার্কাস স্টইনিশ ৬ ও মিচেল স্টার্ক ৩ রান করেন।
এর পরের গল্পটা কেবলই ম্যাক্সওয়েলের। অষ্টম উইকেটে অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে সঙ্গে নিয়ে ২০২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন তিনি। যেখানে ৬৮ বলে মাত্র ১২ রান এসেছে কামিন্সের ব্যাট থেকে। বাকিটা সামাল দিয়েছেন ম্যাক্সওয়েল। সেটাও আবার হ্যামস্টিংয়ের চোট নিয়ে।
তিন অঙ্ক ছুঁতে ম্যাক্সওয়েল খরচ করেছেন ৭৬ বল। এরপর ১৫০ রানের মাইলফকে পৌঁছেছেন ১০৪ বলে। সময় যত গড়িয়েছে ততই বিধ্বংসী হয়ে ওঠেছেন তিনি। ১৫০ থেকে ডাবল সেঞ্চুরিতে পৌঁছাতে খেলেছেন মাত্র ২৪ বল। সবমিলিয়ে ১২৮ বলে নিজের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়েছেন তিনি।
এর আগে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান। দলীয় ৩৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় তারা। গুরবাজ আউট হন ২৫ রান করে। এরপর ইব্রাহিম জাদরান ও রহমত শাহ মিলে গড়েন ৮৩ রানের জুটি। রহমতের ব্যাটে আসে ৩০ রান। এরপরের ব্যাটাররা সবাই রান পেলেও নিজেদের ইনিংস বড় করতে পারেননি। হাসমতুল্লাহ শাহীদি(২৬), আজমতুল্লাহ(২২) রান করেন। তবে অন্যপ্রান্তে ইব্রাহিম জাদরান ধীরেসুস্থে খেলতে থাকেন। ওপেনিংয়ে নেমে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন। ৮ চার ও ৩ ছয়ে ১৪৩ বলে ১২৯ রানের কাব্যিক ইনিংস খেলেন তিনি। শেষের দিকে তার সঙ্গে রশিদ খান ঝড়ো ১৮ বলে ৩৫ রান করলে ৫০ ওভারে আফগানদের স্কোর দাঁড়ায় ২৯১/৫।
অজিদের পক্ষে হাজেলউড দুটি উইকেট লাভ করেন।