শেষ এক বছরে একগাদা পরিবর্তন এসেছে বার্সেলোনায়। সভাপতি বদলেছে, কোচ বদলেছে, বিদায় নিয়েছেন ক্লাবের সবচেয়ে বড় তারকা, তর্কসাপেক্ষে ইতিহাসের সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসিও। চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ার পর লা লিগার বেধে দেওয়া নিয়মের বেড়াজালে নতুন চুক্তি সম্ভব হয়নি দুই পক্ষের। এমন এক সিদ্ধান্ত যে ক্লাবের জন্য বিষাদেরই হবে, তা বলাই বাহুল্য। তবে ক্লাবটির সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা জানালেন, এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে মোটেও আফসোস নেই তার।
করোনা মহামারির জন্য বার্সেলোনা তো বটেই, বিশ্বের সব বড় বড় ক্লাবের আয়ই গেছে কমে। লা লিগার ক্লাবগুলোকে দেউলিয়াত্ব থেকে বাঁচাতে এক নিয়ম বেধে দিয়েছিল লিগ কর্তৃপক্ষ, আয়ের অনুপাতে ব্যয় করতে হবে। সে কারণে বার্সার ব্যয় করার সীমা নেমে এসেছিল প্রতি মৌসুমে ৯.৭ কোটি ইউরোয়। মেসির বেতন অর্ধেক কমিয়েও তাই লাভ হয়নি। নতুন চুক্তির সুযোগই তৈরি হয়নি তাতে। এরপর মেসি অশ্রুসজল এক সংবাদ সম্মেলন শেষে বিদায় নেন বার্সেলোনা থেকে। যোগ দেন পিএসজিতে। মেসিকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তটা যে বিষাদের, বিষয়টা মেনে নিলেন লাপোর্তা। সম্প্রতি বার্সেলোনার অফিসিয়াল মিডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এটা আমার নেওয়া সব সিদ্ধান্তের মধ্যে সবচেয়ে দুঃখের এক সিদ্ধান্ত।’ তিনি জানান, এমন সিদ্ধান্ত কখনোই নিতে চাননি তিনি। পরিস্থিতির শিকার হয়েই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে তাকে। তবে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তার কোনো আফসোসও নেই। কেন নেই? লাপোর্তা বললেন, ‘আমি কখনোই এটা করতে চাইনি। তবে আমার কোনো আফসোসও নেই। কারণ আমাদের ক্লাবকে সবার ওপর রাখতে হয়েছিল। যা আমরা করেছিও, আমাদের সেরা খেলোয়াড়ের ওপরও ক্লাবকে রেখে। পরিস্থিতিটাই এমন ছিল তখন।’ তাকে ছাড়া শুরুর ছয় মাসে বেশ খাবি খেয়েছে বার্সা। লা লিগার শীর্ষ দশ থেকে বাইরে চলে যাওয়ার শঙ্কা তাড়া করছিল দলটিকে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ইউরোপাতেও নেমে গিয়েছিল দলটা। তবে সেই পরিস্থিতি সামলে বার্সার পারফর্ম্যান্স সোনালি দিন ফেরানোর আশা দিচ্ছে ক্লাবকে। লাপোর্তা জানালেন, ‘আমাদের বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। মনে হচ্ছিল এর সামনে বুঝি কিছুই নেই। কিন্তু বার্সেলোনার ইতিহাস চলছেই। ভালো কাজ, ও ভালো, সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিয়ে সফলতার পথে এগোতে হবে আমাদের। আমরা এখন সেটাই করছি।’