ইংল্যান্ড জাতীয় দল,পাকিস্তান জাতীয় দল, সারে, আইপিএলের দিল্লী ডেয়ারডেভিলস! এই দলগুলোর সাথে কাজ করেছেন যিনি, তিনিই এখন বাংলাদেশ জাতীয় দলের স্পীন কোচ। নাম মোসতাক আহমেদ!
পাকিস্তান ক্রিকেট তথা, বিশ্ব ক্রিকেটে লেগ স্পীনারদের রাজাদের লিস্ট করলে উপরের দিকেই থাকবে এই কিংবদন্তির নাম। ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের স্পীন কোচ থাকা মোশতাকের খেলোয়াড়ী আর কোচিং দুই পেশাই অভিজ্ঞতায় ঠাসা। আর সেই অভিজ্ঞতা ঢালতেই দায়িত্ব নিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের। চলতি মাসের শেষদিকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে প্রস্তুতি ক্যাম্পে যোগ দেবেন তিনি। মুশতাকের সঙ্গে বিসিবির চুক্তি হয়েছে চলতি বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং যুক্তরাষ্ট্রে ১ জুন থেকে মাঠে গড়াবে এই বিশ্বকাপ। ৫৩ বছর বয়সী মুশতাক এর আগে ২০০৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ড দলের স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। নিজ দেশ পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজেরও স্পিন কোচ ছিলেন মুশতাক। খেলোয়াড়ি জীবনও বেশ সমৃদ্ধ ছিল মুশতাকের। পাকিস্তান জাতীয় দলের হয়ে ১৫২ টেস্টে ১৮৫ এবং ১৪৪ ওয়ানডেতে নিয়েছেন ১৬১ উইকেট। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার নামের পাশে ১৪০৭ উইকেট! ১৯৯২ সালে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তান দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন মুশতাক আহমেদ। মোশতাক ছিলেন শুরু থেকে সেরা খেলোয়াড়দের একজন! ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত পারফর্ম করে সুযোগ ১৯৮৭-৮৮ সালে অনুষ্ঠিত অনুর্দ্ধ ১৯ বিশ্বকাপে। এই বিশ্বকাপে ১৬.২১ গড়ে নিয়েছিলেন ১৯ উইকেট।
এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি মুশতাক আহমেদকে। জাতীয় দলে সুযোগ পাবার আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ দূর্দান্ত পারফর্ম করতে থাকেন তিনি। ১৯৮৯ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচের মধ্য দিয়ে অভিষেক হয় মুশতাক আহমেদের। শ্রীলংকার বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে ৩৩ রানে দুই উইকেট নিয়ে নিজেকে চেনান মুশতাক আহমেদ। অভিষেকের পর বেশ ভালোই পারফর্ম করতে থাকেন তিনি। ক্যারিয়ারে সেরা সময় কাটান ১৯৯৫-১৯৯৮ সাল পর্যন্ত।
এর আগেও বেশ ভালোই খেলেছিলেন মুশতাক আহমেদ। ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে পাকিস্তানের অন্যান্য ক্রিকেটাররা যেভাবে পরিচিতি পেয়েছিলেন মুশতাক আহমেদ ঠিক সেভাবে পরিচিত পান নি। ১৯৯২ বিশ্বকাপে ইনজামাম উল হকের দুর্দান্ত ব্যাটিং, ইমরান খানের অধিনায়কত্ব কিংবা ওয়াসিম আকরামে ফাইনালে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হবার ঘটনা যতটা আলোড়ন তৈরি করেছিলো সেই দিক থেকে মুশতাক আহমেদের পারফর্ম বেশ ভাটা পড়ে গিয়েছিলো। তবে সেই বিশ্বকাপের অন্যতম নায়ক এই বাংলাদেশের নতুন কোচ। তার হাত ধরে বাংলাদেশের স্পীনাররা করবেন দারুন কিছু, বিশেষ করে রিশাদ-আলিসদের মতো তরুনরা শিখবেন ভিন্ন কিছু এমনটাই প্রত্যাশা।