পাকিস্তান সিরিজের পর টেস্ট ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা আগেই দিয়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। পার্থ ও মেলবোর্ন টেস্টে ব্যাট হাতে ভালোভাবেই কাটিয়েছেন তিনি, দলও দুই ম্যাচে পেয়েছে জয়ের দেখা। এবার সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে শেষবারের মতো ‘ব্যাগি গ্রীন’ ক্যাপ পরতে যাচ্ছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
তবে নতুন বছরের প্রথম দিনেই অস্ট্রেলিয়ান এই ওপেনার জানালেন, এবার রঙিন পোশাকেও জাতীয় দল থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখছেন তিনি। সিডনিতে বিদায়ী টেস্টের আগেই ওয়ার্নার জানিয়ে দিলেন, ওয়ানডে ক্রিকেট থেকেও অবসরে যাচ্ছেন তিনি। ফলে ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপের ফাইনালই তার ক্যারিয়ারের শেষ ওয়ানডে ম্যাচ।
সোমবার (১ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে ওয়ার্নার নিজেই ওয়ানডে থেকে বিদায় নেওয়ার কথা নিশ্চিত করেন। এর আগে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ফেব্রুয়ারিতে ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ থেকে নাম সরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। এরপর থেকেই তার বিদায়ের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল।
ওয়ার্নার বলেন, ‘আমি ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছি। ভারতে বিশ্বকাপ জেতাটা একটি বড় অর্জন ছিল। ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর ফলে আমি অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলো খেলতে পারব। আর আমার অবসরে অস্ট্রেলিয়াকে তরুণ ক্রিকেটাররা এগিয়ে নেবে।
টেস্ট ও ওয়ানডে থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেও জাতীয় দলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার হিসেবে খেলতে চান ৩৭ বছর বয়েসী ওয়ার্নার। সেই সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটও চালিয়ে যাবেন তারকা এই ব্যাটার।
২০০৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডেতে অভিষেক হয় ওয়ার্নারের। এরপর টানা ১৫ বছরে ১৬১ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ইনিংস ওপেন করেছেন তিনি। তাতে ২২ সেঞ্চুরির সঙ্গে ৩৩ হাফসেঞ্চুরিতে ৪৫ গড়ে করেছেন মোট ৬৯৩২ রান। এছাড়া জিতেছেন ২০১৫ এবং ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ।