হাভিয়ের কাবরেরা যোগ দেওয়ার পরই যেন বদলে যায় বাংলাদেশ দলের চিত্র। এই সময় সাফসহ বিভিন্ন টুর্নামেন্টে সফলতা পায় বাংলাদেশ। ঘরের মাঠ কিংস এরেনাকে বানিয়ে ফেলে অপরাজেয় দুর্গ। এর বাইরে কাবরেরা মাঠে মাঠে ঘুরে খেলোয়াড়দের পর্যবেক্ষণ করেন। ফলে কাবরেরার চোখে এড়ায় না প্রতিভা। সব প্রতিভাদের খুজে বের করে তাদের থেকে সেরাটা আনেন তিনি।
এবারের স্কোয়াডেও কাবরেরা তুলে এনেছেন বিশেষ কিছু প্রতিভা। ফিলিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে দেখা যেতে পারে তাদের। সব কিছু মিলিয়ে ফিলিস্তানের বিপক্ষে শক্তিশালী একাদশ নিয়েই মাঠে নামতে চাইবে বাংলাদেশ।
গোলরক্ষক পজিশনে ফিরেছেন আনিসুর রহমান জিকো। তবে মিতুল মার্মাও সুযোগ পেয়ে নিজেকে চিনিয়েছেন। তবে এই জায়গায় কাবরেরা একাদশে অভিজ্ঞতার বিচারে সুযোগ পাবেন জিকোই। সেক্ষেত্রে সাইড বেঞ্চে থাকতে হতে পারে মিতুলকে।
সেন্টার ব্যাক তারিক কাজী নেই ইঞ্জুরির জন্য। তাই তপু বর্মনের সাথে এই জায়গায় দেখা যাবে শাকিল হোসেনকে। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে শেষ দুই ম্যাচেই নিজের প্রতিভা দেখিয়েছেন শাকিল। ফিলিস্তান ম্যাচেও তাই শেখ জামালের এই সেন্টার ব্যাককে খেলাবেন কাবরেরা।
ইশা ফয়সাল লেফট ব্যাকে ঝলক দেখিয়েছেন, রাইট ব্যাকে বিশ্বনাথ এখনও দলের প্রথম পছন্দ। এই দুইজনই থাকবেন লেবাননের বিপক্ষে একাদশে। এই ম্যাচে আগের ম্যাচ থেকে ফরমেশনে বদল আনতে পারেন কোচ। সেক্ষেত্রে ৪-৩-৩ থেকে ৪-৪-২ এ খেলতে পারে দল। সে হিসেবে মিডফিল্ডে খেলবেন জামাল ভুইয়া। তার সাথে থাকবেন সোহেল রানা জুনিয়ার এবং মোহম্মদ হৃদয়। এটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে পুলিশ এফসির কাজেম শাহ পেতে পারেন সুযোগ।
শেখ মোরসালিন নেই দলে। তার অভাব বোধ করবে দল।।তবে রাকিব হাসান আছেন একাদশে। এই মুহুর্তে বাংলাদেশের সেরা এট্যাকার রাকিব। বিশেষ করে তার গতি কাউন্টার এট্যাকে আস্থা দেবে বাংলাদেশকে। ফ্রন্টলাইনে তাই রাকিবকে খেলাবে বাংলাদেশ। রাকিবের সাথে ফয়সাল আহমেদ ফাহিমকে দেখা যেতে পারে দলে। এই দুইজনকে সামনে রেখে ফিলিস্তানের বিপক্ষে একাদশে সাজাতে পারেন কোচ কাবরেরা। সেক্ষেত্রে ব্রাদার্সের হয়ে পাচ গোল করলেও সাইড বেঞ্চেই থাকতে হতে পারে রাহুলকে। বদলি হিসেবে থাকতে পারেন সুমন রেজা ও শাহরিয়ার রিমন।
শেষ পর্যন্ত ম্যাচে কারা সুযোগ পাবে আর কার পাবেনা, তা জানা যাবে ২২ মার্চ। বাংলাদেশ সময় ৩ টায় এদিন এওয়ে ম্যাচ খেলতেই ফিলিস্তানের বিপক্ষে নামবে বাংলাদেশ। এবার দেখা যাক, কেমন দল সাজান কাবরেরা, আর কেমন করে সেই দল।