চীনের দুখ যদি হয় হুয়াংহো নদী, বাংলাদেশ ক্রিকেটের দুখ হবে আম্পায়ারিং। এই এক আম্পায়ারিং এর কারণে বাংলাদেশের ভুক্তভোগী হওয়ার ঘটনা পুরাতন নয়। বরং বারবার এই কারণে বাংলাদেশকে নিশ্চিত ম্যাচে হারতে হয়েছে। ভারত থেকে পাকিস্তান, দল বদল হয়, ভাগ্য বদল হয়না বাংলাদেশের।
মুলতান টেষ্টের ইতিহাস তাই ২০ বছর আগে হলেও স্মৃতি সবার কাছে তরতাজা। সেদিন দুটি আউট ভুগিয়েছে বাংলাদেশ দলকে, এনে দেয়নি ঐতিহাসিক টেষ্ট জয়৷ ২০ বছর পর আবারো পাকিস্তানে ভুগল বাংলাদেশ। এবার বাংলাদেশ বিপক্ষে আবারো আসলো ভুল আম্পায়ারিং এর অভিযোগ।
এদিন আম্পায়ারিং এর বদন্যতায় বেচে যান পাকিস্তানের ব্যাটার সালমান আলী আঘা। আট উইকেট হারিয়ে তখন ধুকছে পাকিস্তানে। ক্রিজে একমাত্র স্বীকৃত ব্যাটসম্যান হিসেবে আছেন সালমান আলী আঘা। কোন সন্দেহ নেই তাকে আউট করলেও প্রতিপক্ষকে অলআউট করার কাছাকাছি চলে যাবে বাংলাদেশ। আর সেখানে তাকে আউট করেও আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে হতাশ হতে হলো বাংলাদেশকে।
সালমান আলী আঘার শট ব্যাট ছুয়ে চলে যায় ফিল্ডার মিরাজের কাছে। সেখানে দারুণভাবে ক্যাচ নেন মিরাজ। তবে বাংলাদেশের জোড়ালো আবেদন সারা দেননি ইংলিশ আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবার্গ। এর আগে প্রতি দলের জন্য তিন রিভিউ বরাদ্ধ থাকলেও দুইবার ক্যাচ ও একবার এলবি ডাব্লিউ এর জন্য রিভিউ শেষ করে ফেলে বাংলাদেশ। ফলে ম্যাচের এই মুহুর্তে আম্পায়ারের সামনে অসহায় থাকে বাংলাদেশ।
এর আগে ইনিংসের শুরুতেই সাকিবের বলে গালি পজিশনে থাকা জাকির হাসানকে ক্যাচ দেন সালমান৷ তবে সে ক্যাচ তালুবন্দি করতে পারেননি জাকির। ফলে সে যাত্রায় বেচে যান সালমান৷ এরপর আবারো আম্পায়ারের কল্যাণে বেচে যান এই ব্যাটসম্যান।
দুইবার সুযোগ পেয়ে সুযোগ হাতছাড়া করেননি সালমান আলী আঘা। লোয়ার অর্ডারে পাকিস্তানের হাল ধরেন, তুলে নেন অর্ধশতক। দুইবার জীবন পেয়ে হন পাকিস্তানের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। আর তাতে প্রথম ইনিংসে ভালো স্কোরের দিকেও যাচ্ছিল পাকিস্তান। হয়ত তাসকিন আহমেদ আঘাত না হানলে ইনিংসটা হতে পারত আরো বড়, ৩০০ এর অধিক স্কোর নিয়ে আপার হ্যান্ডে থাকতে পারত পাকিস্তান।
টেষ্ট ক্রিকেটে ছোটখাটো কোন সিদ্ধান্ত বা ব্যাবধান বদলে দেয় ম্যাচের চিত্র। সেখানে এরকম মুহুর্তে এই সিদ্ধান্ত এখনও ভোগাতে পারে বাংলাদেশ দলকে। হয়ত বারবার একই কারণেই ইতিহাস রচনা থেকে ফিরে আসে বাংলাদেশ।