যেই দক্ষিণ আফ্রিকা মাঠে নামলেই হরহামেশাই ৩০০ র বেশি রান করছিলো, ভারতের বিপক্ষে তারাই গুটিয়ে গেল ১০০ রানের নিচে। এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৩২৬ রান তোলে ভারত।জবাবে মাত্র ৮৩ রানেই অলআউট হলো দক্ষিণ আফ্রিকা। ২৪৩ রানের বড় জয়ে ৮ ম্যাচের সবকটিতেই জিতলো স্বাগতিকরা।
এদিন ভারতের দুই ওপেনার দুর্দান্ত শুরু করে। রোহিত (৪০) এবং শুভমন (২৩) মিলে প্রতি ওভারে ১০ রানের বেশি রান তুলছিলেন। তাঁদের ৬২ রানের জুটিটাই বুঝিয়ে দিয়েছিল দিনটা ভারতের। ১২১ বলে ১০১ রান করে যদিও দিনটা নিজের নামে লিখে নিয়েছিলেন ৩৫ বছরে পা রাখা বিরাট। তিনি যেন ঠিক করেই এসেছিলেন যে, জন্মদিনটি শতরান দিয়ে সাজিয়ে রাখবেন। স্ত্রী অনুষ্কার কথা অনুযায়ী, “নিজের জন্মদিনে নিজেকেই উপহার” দিলেন বিরাট।
বিরাট এবং শ্রেয়স ১৩৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ একটি জুটি গড়লেন। তাঁদের এই জুটি না থাকলে ইডেনে চাপে পড়তে পারত ভারত। শেষ বেলায় ব্যাট হাতে জাডেজা ২৯ রানের একটি ইনিংস খেলে যান। সেটি ভারতকে ৩২৬ রানের লড়াকু স্কোরে পৌঁছে যেতে সাহায্য করে।
দক্ষিণ আফ্রিকা এ বারের বিশ্বকাপে প্রথমে ব্যাট করতে নামলে একের পর এক বড় রান তুলেছিল। কিন্তু রান তাড়া করতে নামতেই হুমড়ি খেয়ে পড়লেন কুইন্টন ডি’ককেরা। ৮৩ রানে শেষ হয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। যে ব্যাটারেরা একের পর ম্যাচে শতরান করছিলেন। এ বারের বিশ্বকাপে যে ডি’কক চারটি শতরান করেছেন। তাঁদের ব্যাটারদের বিরুদ্ধে ভারতীয় বোলারদের দাপট চাক্ষুস করল ইডেন। জাডেজা একাই নিলেই পাঁচ উইকেট। দু’টি করে উইকেট নিলেন মহম্মদ শামি এবং কুলদীপ যাদব। একটি উইকেট নেন মহম্মদ সিরাজ। ডি’ককের উইকেট ফেলে তিনিই দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথম ধাক্কা দিয়েছিলেন। বাকি কাজটা করলেন শামি, কুলদীপ এবং জাডেজা।