আর মাত্র ছয়দিন পরই (১৯ জানুয়ারি) দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ শুরু হবে। তার আগে স্বাগতিক অধিনায়ক ডেভিড টিগারকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা (সিএসএ)। তবে মাঠের পারফরম্যান্সের কারণে নয়, তার অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে ইসরায়েলের সমর্থনে একটি মন্তব্য করার কারণে। নেতৃত্বে পরিবর্তন আনা হলেও, টিগার দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকবেন বলে জানিয়েছে সিএসএ।
আইসিসির নিয়ম অনুসারে— বিবদমান কিংবা যুদ্ধরত দুটি পক্ষের কাউকে সমর্থন কিংবা তাকে কেন্দ্র করে ইঙ্গিতপূর্ণ কোনো বার্তা দেওয়ার অনুমোদন নেই। যা নিয়ে সম্প্রতি ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থাটিকে বারবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার উসমান খাজার ওপর কড়াকড়ি আরোপ করতে দেখা যায়। তেমনি যুব বিশ্বকাপ শুরুর আগমুহূর্তে বিতর্ক এড়ানোর লক্ষ্যে নিজেদের ক্রিকেটারের বিষয়ে প্রোটিয়ারা কঠিন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো বলছে, ফিলিস্তিনের সঙ্গে চলমান সংঘাতের মাঝে ইসরায়েলি সৈন্যের সমর্থনে ডেভিড টিগারের মন্তব্য তার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে সিএসএ’র। তাই টুর্নামেন্ট চলাকালে এ ধরনের কাজ থেকে তারা ক্রিকেটারদের বিরত রাখতে চায়।
এক বিবৃতিতে সিএসএ জানিয়েছে, ‘দলের সব ক্রিকেটার এবং ডেভিডের নিজেরও খেলার প্রতি অনেক আগ্রহ রয়েছে। তাই তাকে আমরা স্কোয়াডের সঙ্গে রাখব এবং নতুন অধিনায়কও ঘোষণা করা হবে। সিএসএ বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাওয়া প্রত্যেক খেলোয়াড় এবং দর্শকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাকে প্রাথমিক দায়িত্ব বলে মনে করছে। সে কারণে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মানতে হবে।’
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আয়োজকরা আরও জানিয়েছে, ‘সিএসএ সবসময় বিশ্বকাপকে ঘিরে নিয়মিত নিরাপত্তা ও ঝুঁকির বিষয়ে আপডট রাখছে। আমরা আশা করব টুর্নামেন্টের কোনো ভেন্যুতে কিংবা সংশ্লিষ্ট কেউ যেন গাজায় চলমান যুদ্ধের বিষয়ে কথা বলা থেকে বিরত থাকে। এছাড়া আমরা প্রোটিয়া অধিনায়ক ডেভিড টিগারের অবস্থানের ওপরও নজর রেখেছি, যাতে চলমান সংঘাত ও দ্বন্দ্বের কোনো ঝুঁকি তার ওপর না পড়ে।’