অনেক স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলেন বার্সেলোনায়। ব্রাজিলের যুব দলে ভালো খেলে ছিলেন অনেক ক্লাবের নজরে। তবে সব প্রস্তাব দেন ফিরিয়ে, আসেন নিজের ড্রিম ক্লাব বার্সেলোনায়। সুয়ারেজ, ডিপেইদের যাওয়ার পর নাম্বার নাইনে বার্সার সংকট। লেওয়ান্ডোয়েস্কিও ক্যারিয়ারের শেষের দিকে। ভিটর রকই যে হাল ধরবেন, সেটাই মনে করেছিলেন অনেকে।
৬ মাসের মধ্যেই দেখলেন মুদ্রা উলটো পিঠ। এবার দেখা গেলো বার্সার হয়ে জ্বলে উঠা দূরে থাক, বার্সা কোচের সাথেই যেন দুরত্ব রকের। সাবেক বার্সা কোচের প্লানে রক নেই, এমনকি কোচ নাকি কথাই বলতেন না রকের সাথে। এরপর তাকে নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত মাত্র ২ গোল করেই ছাড়েন বার্সা, লোনে যোগ দেন রিয়াল বেটিসে। এবার বেটিস থেকে আন্তর্জাতিক বিরতিতে রক যোগ দেন ব্রাজিলের যুব দলে। আর সেখানে এসেই আবারো নিজেকে প্রমাণ করেন তিনি। তার জোড়া গোলেই জয় পায় ব্রাজিল যুব দল।
তবে যুব দলের হয়ে জেতার পর রক তুলে ধরলেন তার পুরোনো কষ্টের কথা। সেটার তীব্রতা এতই বেশি ছিল, ৬-৭ মাস নাকি হাসতেই পারেননি ভিটর রক। ব্রাজিলের সাম্প্রতিক জয়ের পর এমন কথাই বলেন রক। এর আগে এক সাক্ষাৎকারে রক বলেন বার্সেলোনায় তার পরিস্থিতির কথা। ব্রাজিল থেকে অনেক বড় স্বপ্ন নিয়ে ইউরোপে এলেও খুব শীঘ্রিই৷ মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকেন রক। শেষ পর্যন্ত মানসিক ডাক্তার দেখান রক। এছাড়া রক কথা বলে নিজের ভিতরের অভিজ্ঞতা নিয়ে। সাংবাদিকদের সংবাদ প্রকাশের ধরণেও তিনি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন বলে জানান। এছাড়া অনেক সময় মানসিক অবস্থা না বুঝেই একজনকে বিবেচনা করা হয় বলেও জানান তিনি। তবে সবশেষে আবারো জাতীয় দলে ফেরার জন্য ধন্যবাদ জানান সৃষ্টিকর্তাকে।
রক ছাড়াও এর আগে অনেক ব্রাজিলিয়ান প্রত্যাশা নিয়ে বার্সেলোনায় আসলেও সময়ের স্রোতে তারা হারিয়ে যান। সেই তালিকায় আছে কৌতিনহো, ম্যালকম, এমারসন রয়েল, আদ্রিয়ানো, আর্থার মেলো, নেতো সহ অনেক প্রতিষ্ঠিত ও তরুণ খেলোয়াড়রা বার্সেলোনায় গেলেও অধিকাংশই হয়েছেন ব্যার্থ। এছাড়া রোনালদো নাজারিও এর মত খেলোয়াড়ও অভিযোগ করেছেন বার্সা নিয়ে। নেইমার, আলভেসরা এই ক্লাবে প্রতিষ্ঠিত হলেও তারা ছিলেন স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত ট্যালেন্টেড। তবে সাধারণ প্রতিভাবান ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড়দের জন্য আসলেই কি বার্সেলোনা নিজের ক্যারিয়ারের দুস্বপ্ন.?