বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার নামেদামে, কিংবা পরিসংখ্যানে
পরে আছেন। মাঠের খেলায় সাকিব যেন ফুরিয়ে যাওয়া কোনো ক্রিকেটার। অন্তত তাঁর সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স সেটিই বলে। কিন্তু সাকিবের শেষের দিকে আলো ছড়াচ্ছেন শরিফুল ইসলাম। বল হাতে যেন একের পর এক চমক দেখিয়ে যাচ্ছেন এই পেসার। লাংকা প্রিমিয়ার লিগে ব্যর্থ হওয়ার পর সবাই যখন শরিফুলকে নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করছিলেন তখন এই বাঁহাতি ফিরে এসেছেন নিজ রূপে। গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে সাকিবের দল বাংলা টাইগার্স মিসিসাগার হয়ে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ডেবু করেছেন শরিফ। ডেবুর দিনে বল হাতে এক প্রকার ঝড়ই তুললেন এই টাইগার। ৩.১ ইকোনমিতে বল করেছেন, পুরো স্পেল শেষে ২৪ বলের বিনিময়ে দিয়েছেন ১৫ রান। নিয়েছেন এক উইকেট। সাথে এক ওভারে দেননি কোনো রান অর্থাৎ মেইডেন ওভার করেছেন শরিফুল ইসলাম!! বল হাতে শরিফের এ চমক দেখার জন্যই যেন ভক্তরা অপেক্ষা করছিলো।
তবে শরিফুল চমক দেখালেও ব্যর্থ হয়েছিলেন শরিফের ক্যাপ্টেন ও জাতীয় দল সতীর্থ সাকিব আল হাসান। মিসিসাগার ক্যাপ্টেন সাকিব বল হাতে নিয়ে ৪ ওভারে দিয়েছিলেন ৩০ রান, ৭.৫ ইকোনমিতে বল করে কোনো উইকেটের দেখা পাননি তিনি। মন্ট্রিয়ল টাইগার্সের বিপক্ষে সাকিব শুধু বল হাতে ব্যর্থ ছিলেন এমনটাই না, ব্যাট হাতেও তার ব্যর্থতা দলকে ডুবিয়েছে। ৬ বল খেলে ৩ রান করে আউট হয়ে মাঠ ছেড়েছেন। দলের ক্যাপ্টেনের এমন বাজে ফর্ম যে দলকে হারাতে পারে তা
চোখের সামনেই বাস্তবতায় রূপ নিয়েছে। সাকিবের নিস্প্রভ হওয়ার দিনে দল হেরেছে ৩৪ রান বাকি রেখেই
সাকিবের যাচ্ছেতাই ফর্ম বেশ ক’বছর ধরেই চলছে, উন্নতির তেমন লক্ষ্য নেই বললেই চলে। অন্যদিকে শ্রী লংকায় বাজে সময় কাটিয়ে আসা শরিফ কানাডায় গিয়ে যেন ফিরেছেন নিজের রূপে। বল হাতে ভালো করার পাশাপাশি বলার মতো চেষ্টা টুকু ব্যাট হাতেও করেছেন। চার বলে ২০০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করে ৮ রান করেছেন। হাকিয়েছেন এক ছক্কা। যদিও দল হেরে যাওয়ায় শরিফের এমন ভালো পারফরম্যান্স ম্ল্যান হয়ে গিয়েছে। তবুও শরিফের ফেরাটা স্বস্তি দিবে নিশ্চয়ই! দল জিতলে তিনিই যে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হতেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না অবশ্য! তবে এখনও অনেক ম্যাচ বাকি, পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে ভালো বল করতে পারলে শরিফ নিজেও আলাদা কনফিডেন্স পাবেন এবং আলাদা পরিচিতিও পাবেন। যা ফ্রাঞ্চাইঝি ক্রিকেটের মূল বৈশিষ্ট্য গুলোর একটা