লিওনেল মেসি নিজের খেলা আর কথাবার্তায় সবসময় নিখুত হলেও তার অনেক অর্জনই বিতর্কিত, সেটি হোক ব্যালনডিওর, বিশ্বকাপ কিংবা নিজ বাড়ি।
আর্জেন্টিনার বাহিরেও তার অনেক বিলাশবহুল বাড়ি আছে তবে,স্পেনে তার বিলাশবহুল বাড়িটিই তার বড্ড প্রিয়।তবে সেই প্রিয় বাড়িতে আন্দোলন কারীরা করেছে আক্রমন,কেও ভাঙার চেষ্টা করছে আর কেও পেইন্টিংয়ে মাখাচ্ছে রঙ।
আন্দোলনরত পরিবেশবাদীদের সংগঠন ‘ফিউচারো ভেজেটাল’ ২০২২ সাল থেকে পরিবেশ বিষয়ে নানা ধরনের আন্দোলন করে আসছে। ২০২২ সালে সংগঠনটির সদস্যরা মাদ্রিদের প্রাদো জাদুঘরে স্থাপিত স্প্যানিশ শিল্পী ফ্রানসিসকো দে গয়ার পেইন্টিংয়ে আঠা লাগিয়ে দেয়। বিভিন্ন সময় এমন কাজ তারা আরও কয়েকবার করেছে।
এবার মেসির বাড়িটি অবৈধভাবে নির্মাণের দাবি তুলেছে তারা। সংগঠনটি বিবৃতি জানিয়ে বলে, ‘’আমরা মেসির অবৈধ ইবিজার বাড়িতে রঙ মাখিয়েছি। এই বাড়িটি অবৈধ উপায়ে নির্মাণ করা হয়েছে, যেখানে সাবেক এই বার্সা তারকা ১১ মিলিয়ন ইউরোরও বেশি অর্থ ব্যয় করেছেন। ওই বাড়ি নির্মাণের সময়ও ২-৪ মানুষ নিহত হন এবং নির্মাণসংক্রান্ত কাজের কারণে তাপপ্রবাহ বেড়েছে।’’
অন্যদিকে, স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মেসির এই সম্পত্তিতে দলিলসংক্রান্ত কিছু সমস্যা আছে। শুধু সেই ম্যানশনে বাস করার অনুমতি আছে মেসির কাছে। স্প্যানিশ গণমাধ্যম বলছে, ম্যানশনের কিছু অংশ নির্মাণ নাকি অবৈধ অংশের ওপর ছিল।যদিও এই ব্যাপারে মেসির মুখ খোলার আগেই মুখ খুলেছে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট নিজেই,এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন তিনি,পাশাপাশি স্পেনে আর্জেন্টাইনদের নিরাপত্তার ব্যাপারে উদ্যিগ্ন তিনি।
মুলত মেসির বাড়িটি স্পেনের এক্সক্লুসিভ এলাকাগুলোর একটি ‘কালা তারিদায়’ অবস্থিত, সেন্ট জোসেফ দ্বীপের পশ্চিমে। যার আয়তন ৫৬৮ স্কয়ার মিটার এবং সবমিলিয়ে সেটি কিনতে খরচ হয়েছে ১১ মিলিয়ন ইউরোর বেশি। বাড়ির নিচতলা–ই শুধু ৪২০ স্কয়ার মিটার বিশিষ্ট, ১৬.৭৯ মিটার বেসমেন্টের সঙ্গে আরও অতিরিক্ত ৩৮.৮৫ জায়গা রয়েছে।
বাড়ির সামনের দিকে ৯২ স্কোয়ার মিটার বড় সুইমিংপুল এবং দারুণভাবে সাজানো হয়েছে বাগান এবং ফুটবল কোর্ট। সেই মাঠে মেসি এবং তার তিন সন্তান থিয়েগো, মাতেও ও কিরোদের খেলতে দেখা গেছে আগে।
তবে সেই বাড়িটি এখন রক্ষা করতে পারেন কিনা তাই দেখার ব্যাপার।