তিনি আর্জেন্টাইন ফুটবলার অথচ আইডল মানেন ক্রিষ্টিয়ানো রোনালদো কে।
ছোট বেলা থেকে রোনালদো কে ঘিরে, ফুটবলার হবার সপ্ন বুনেছেন, রোনালদো তার আইডল সেটাও ফলাও করে প্রচারও করেছেন।।
এমনকি নিজের ক্লাব ম্যানচেষ্টার ইউনাডেটের জার্সিতে নিজের করা, প্রায় প্রতিটি গোলে, রোনালদোর আইকনিক সিউউউউউ উদযাপনও করেন।
ফুটবলার টাকে নতুন করে আর পরিচয় করিয়ে দেবার হয়তো আর প্রোয়জন পড়ছে না, তিনি ম্যানেচষ্টার ইউনাইটেড এর তরুণ তর্কী আলেজান্দ্র গার্নাচো।।
কিন্তুু সেই গার্নাচো এবার, রোনালদোকে তার দলে দরকার নেই বলে জানিয়েছেন।
আর্জেন্টিনার হয়ে কোপা-আমেরিকা খেলতে দলের সঙ্গে আছেন গার্নাচো।
আর সম্প্রতি, আর্জেন্টাইন গণমাধ্যম আল-বেসিলেস্তে টল্কে দেয়া সাক্ষাৎকারে গার্নচো কে প্রশ্ন করা হয়েছিলো; আর্জেন্টিনা জার্সি তে বিশ্বের আর কোন ফুটবলার কে তিনি দলে চান।
সে প্রশ্নের জবাবে গার্নাচো;
ক্রিষ্টিয়ানো রোনালদো কে দলে চাননি, বরং সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তাদের দলে সৌভাগ্যক্রমে, পৃথিবীর সেরা ফুটবলার ও সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার, লিওনেল মেসি আছেন কাজেই তাদের আর কোন বিশেষ ফুটবলার কে দলে দরকার নেই।
সবাই জানেন লিওনেল মেসি কি করেছেন বা কী করা ক্ষমতা তিনি রাখেন।।
এবং আমি অনেক সৌভাগ্যবান যে আমি লিওনেল মেসির সতীর্থ হতে পেরেছি।
তাহলে মেসির ভালোবাাসাতে বদলিয়ে গেলেন রোনালদো সেটা বেশ প্রশ্নের যায়গা রাখে।
কারণ বরাবরই তিনি, সি,আর সেভেন কে সেরা বলে এসেছেন, নিজের ইন্সট্রাগ্রাম একাউন্টে রোনালদো কে গট গ্রেটেষ্ট আফ অল টাইম বলে সম্বন্ধোন করেছেন।
স্পেনে বেড়ে উঠার সেই ছোট্ট বয়স থেকে, গার্নাচোর রোনালদো কে ফলো করে আসা।
দুই চোখে রোনালদোর মতন ফুটবলার হবার সপ্ন বনে এসেছেন ছোট্ট গার্নাচো।
আর সেই সপ্ন পূরনের পথে, রোনালদোর মতনই, ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডর জার্সিতে মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। রনোর মতই লেফট ফ্ল্যাংক থেকে গতির ঝড়ে প্রতিপক্ষ কে দুমড়িয়ে মুচরিয়ে দেবার ক্ষমতা রাখেন এই টিনেজার।।
এমনকি নিজের পেশাদার ফুটবলের প্রথম গোল টা করেছিলেন রোনালদোর এ্যাসিষ্ট থেকে।।
অথচ সেই গার্নাচো কোপা আমেরিকা খেলতে গিয়ে মেসির সান্নিধ্যে গিয়ে পুরোপুরি বদলিয়ে গেলেন।
১৮০ ডিগ্রি বেকে বসে, গার্নাচো মেসি কে সেরা বলছেন।
চলমান কোপা-আমেরিকা তে এখন পর্যন্ত এক ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন গার্নাচো।
গ্রুুপ পর্বে নিয়ম রক্ষার ম্যাচে পেরুর বিপক্ষে শুরুর একাদশে যায়গা পেয়েছিলেন।
৬৬ মিনিট মাঠে থেকে কোন গোল এ্যাসিষ্ট না করতে পারেলেও গোলমুখি শট নিয়েছিলেন দুটি।
এছাড়া লেফট ফ্ল্যাংকো দিয়ে গতির ঝড়ে, পেরুর ডিভেন্স কে কাপিয়ে তুলেছিলেন, ফুটবলে আগামীর রোনালদো খ্যাত আলজান্দ্রো গার্নাচো।।