পুরাতন এক ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ চর্চিত হচ্ছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে তরুণ লিওনেল মেসি এক ছোট শিশু সাথে খেলা করছেন। সেই ছোট্ট শিশু বসে আছে তার নিজস্ব বাথটাবে, আর সেখানেই তাকে যত্ন নিচ্ছেন মেসি। এছাড়া সেই তরুণ ঝাকড়া চুলের মেসির সেই ছোট্ট শিশুকে কোলে নেওয়ার এক দৃশ্যও আছে।
মেসিকে দেখে অনুমেয় এই ছবি আজকের নয়, বরং মেসির তরুণ সময়কাল বা দেড় যুগ আগের। তবে এই ছবির বিশেষত্ব আরেক জায়গায়। মেসির কোলে থাকা সেই ছেলেটি সাধারণ কেউ নয়, তিনি লামিন ইয়ামাল। এবারের ইউরোর সেরা উইঙ্গার, যাকে ধরা হয় আগামী দিনের মেসি।
ইয়ামালের বয়স মাত্র ১৭ বছর। এখনও স্কুলের গন্ডি পের হতে পারেননি। ইউরো খেলতে এসেও করতে হয়েছে বাড়ির কাজ, কেননা এই টুর্নামেন্ট শেষে আবারো যে বসতে হবে ফাইনাল পরীক্ষায়। এমন একজন ইউরোপের সব বাঘা বাঘা ডিফেন্ডারদের নাকানি চুবানি খাওয়াচ্ছেন। থিও হার্নান্দেজ, রুডিগার, রাউম, ডিম্যাক্রোর মত বিশ্বের সেরা সেরা ডিফেন্ডারদের বোকা বানাচ্ছেন নিয়মিত।
এই ইউরোতে লামিন ইয়ামাল অবদান রেখেছেন ৪ গোলে। এর মাঝে আছে ৩ এসিস্ট, আছে এক গোলও। ইউরোর মঞ্চে যেখানে বড় বড় তারকারা নিজেদের মেলে ধরতে পারছেনা, সেখানে ইয়ামাল এসেছেন রাজত্ব করতে। এর আগে বার্সেলোনার হয়ে এই সিজনে সুযোগ পান মুল দলে। আর সেখানে এসেই ডানদিকে করেন নিজের জায়গা পোক্ত। এই বছর অবদান রাখেন মোট ১৪ গোলে। এরপর স্পেনের দলে ডাক পেয়ে করেন সবচেয়ে কম বয়সে গোলের রেকর্ড৷ এবার ইউরোতে দেখাচ্ছেন দাপট
ইয়ামাল মনে করাচ্ছেন মেসিকেই। শেষ লিওনেল মেসিই এরকম আলোড়ন তৈরি করতে পেরেছিল অল্পদিনে। বার্সেলোনার ১৮ বছরের মেসিকে তাই ২০০৬ সালের আর্জেন্টিনা দলের বানানো হয় সদস্য। এছাড়া লা মাসিয়া থেকে এসে লিওনেল মেসিই অল্পদিনে এরকম অর্জন করেন বড় খ্যাতি। মেসির পরের গল্পটা সবারই জানা। লা মাসিয়ার অন্যতম সেরা ট্যালেন্ট থেকে হয়েছেন বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়।
ইয়ামাল হাটছেন সে পথেই। বার্সেলোনা দলের সেরা এট্যাকার তিনি, দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। বর্তমান স্পেন দলের উইঙে ভরসার নাম হয়ে উঠেছেন। দুই জায়গায় একাদশের প্রথম পছন্দ। অথচ বয়সটা মাত্র ১৭। এত অল্প বয়সে এত বেশি অর্জন, এক মেসি ছাড়া ইয়ামালের তুলনা আর কার সাথেই বা মানায়.?