মাঠের ফুটবলে নেইমার নেই বহুদিন। অলিম্পিকেও নেই নেইমার। খেলোয়াড় তো দূরে থাক, এবারের অলিম্পিকে দর্শক হিসেবেও দেখা যায়নি নেইমিকে। তবুও যেন আলোচনার টেবিলে ঘুরে ফিরে নেইমার। এই খেলোয়াড়ের প্রতি মোহ যেন কাটানোই যাচ্ছেনা। আর সেই মোহ শুধু সাধারণ ফুটবল ভক্তদের নয়, আকৃষ্ট করেছে লেব্রন জেমসের মত তারকার। তাই তো অলিম্পিকে স্বর্ণ জয় করে নেইমারের উজ্জাপন করেন লেব্রণ।
অলিম্পিকে সবসময় দাপট থাকে আমেরিকার। এবারের আসরেও আছে সেই দাপট। বর্তমানে ৪০ স্বর্ণ সহ ১২৬ পদক নিয়ে চীনকে টপকে সবার সেরা এই দেশটি। আর সেখানেই দলকে গুরুত্বপূর্ণ স্বর্ণপদক এনে দেন লেব্রণ জেমস। অলিম্পিকে বাস্কেটবলে টানা পঞ্চমবারের মত আমেরিকাকে স্বর্ণ এনে দেন এই খেলোয়াড়। ফাইনালে তারা প্রতিপক্ষকে ৯৮-৮৭ পয়েন্টে হারিয়ে জয় করে স্বর্ণপদক।
টানা পঞ্চমবারের মত এই আসরের স্বর্ণ আমেরিকা জিতলেও লেব্রণের জন্য এটাই প্রথম অলিম্পিক স্বর্ণজয়। ফাইনালে ১৪ পয়েন্ট অর্জন করে দলের জয়ে ভুমিকাও রাখেন লেব্রন। আর তাতেই যেন স্মরণীয় জয় উজ্জাপন করতে করেন স্মরণীয় সেলিব্রেশন। সেখানেই মনে করিয়ে দেন নেইমারকে। নেইমারের মত দুই হাত কানের কাছে নিয়ে জিব্বাহ বের করে হাস্যোচ্ছল মুখের সেলিব্রেশনই করেন লেব্রন।
যদিও অনেক আগে থেকেই নেইমার ও লেব্রণ জেমসের সাথে আছে সুসম্পর্ক। ফুটবলার হলেও অন্য ধরণের স্পোর্টসের মানুষের সাথে নেইমারের সুসম্পর্ক নতুন নয়। সেই তালিকায় আছেন লেব্রণ জেমসও। এইবারের অলিম্পিক প্রতিযোগিতা শুরুর আগে লেব্রণকে নিয়ে নিজের ইনষ্টাগ্রামে পোষ্টও দেন নেইমার। সেখানে লেব্রণকে লিজেন্ড হিসেবে আখ্যায়িত করেন তিনি। এবার সেই কারণেই হয়তবা নেইমারকে নিয়ে উজ্জাপন লেব্রণের। আমেরিকার হয়ে স্বর্ণজয়ের পর তাই নেইমারের উজ্জাপন করে সেই কাহিনীরই দিলেন প্রতিদান
তবে অবশ্য অলিম্পিক শেষে দুই ধরণের গন্তব্য থাকবে নেইমার ও লেব্রণের। আপাদত স্বর্ণজয়ের পর আনন্দিত মনে ছুটে কাটাবেন লেব্রণ। এই এনবিএ তারকা পরবর্তীতে মাঠে নামার আগে থাকতে চাইবেন নিরিবিলি। আর প্রায় ১ বছর পর মাঠে নামার জন্য প্রস্তত নেইমার। এই সময়ে কঠোর পরিশ্রমও করছেন তিনি। খুব শীঘ্রি তাকে দেখার জন্য প্রস্তত ভক্তরা। সব মিলিয়ে মাঠের বাইরে নেইমারকে নিয়ে যত আলোচনাই হোক, মাঠের ফুটবলে নেইমারকে দেখার চাহিদা যেন ফুরাচ্ছেই না ভক্তদের।