বয়সটা ফুটবলকে বিদায় বলে দিতেই সম্মতি দেয়,ইতোমধ্যে জাতীয় দল থেকেও ছিটকে গেছেন,গত মৌসুমে তার খেলা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন।অথচ এই মৌসুমে প্রথম ম্যাচেই বাজিমাত করলেন ব্রাজিলিয়ান ট্যাংক ক্যাসেমিরো।
ফুলহামের বিপক্ষে তার র্যাটিংয়ের ধারেকাছেও নেই কোনো ফুটবলার।
৩ টি কে পাস,২ টি বিগ চান্স ক্রিয়েট,৫ বার গ্রায়ন্ড ডুয়েলস আর ২ বার এড়িয়াল ডুয়েলস জয়ের পাশাপাশি ৪ ক্লিয়ারেন্স চার সফল ট্যাকেল করেছেন ক্যাসেমিরো,তাইতো ম্যাচের সর্বোচ্চ ৮.৪ সোফা র্যাটিংও ছিলো তার।
আসরের প্রথম ইপিএল ম্যাচে ম্যাঞ্চেস্টারের প্রতিপক্ষ ছিলো ফুলহাম।শুরুতে ধুকছিলো ইউনাইটেড, বেচে যায় লিসান্দ্রোর কারনে।
কিন্তু ত্রয়োদশ মিনিটে ২৫ গজ দূর থেকে শট নেন ফুলহ্যামের কেনি টেটে। ক্রসবারের উপর দিয়ে পাঠিয়ে দেন আন্দ্রে ওনানা। প্রথমার্ধে সফরকারীদের এই একটি শটই ছিল লক্ষ্যে।
নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে আক্রমণে যাওয়া ইউনাইটেড এগিয়ে যেতে পারত ২৭তম মিনিটে। ব্যাকপাস পেয়ে বিপদমুক্ত করতে গিয়ে ফুলহ্যাম গোলরক্ষক বার্নড লেনো খুঁজে নেন কাসেমিরোকে। ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডারের কাছ থেকে বল জোরাল শট নেন ব্রুনো ফের্নান্দেস। তবে চমৎকার রিফ্লেক্সে পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন লেনো।
সাত মিনিট পর আরেকটি দারুণ সুযোগ পান ইউনাইটেড অধিনায়ক। কাসেমিরোর দারুণ পাস ডি বক্সে পেয়ে শট নেন তিনি। এবারও সেটি ফিরিয়ে ফের্নান্দেসকে হতাশায় ডুবান লেনো।
৩৭তম মিনিটে সুযোগ পান কাসেমিরো। তবে কর্নার থেকে ছয় গজ দূর থেকেও হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৪তম মিনিটে গোলরক্ষকের নৈপুণ্যে আরেকবার বেঁচে যায় ফুলহ্যাম। মার্কাস র্যাশফোর্ডের কাছ থেকে বল পেয়ে পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে শট নেন ম্যাসন মাউন্ট। খুব কাছ থেকেও সেটি ঠেকিয়ে দেন লেনো।
দুই মিনিট পর দূর থেকে কোবি মাইনোর শট বেরিয়ে যায় পোস্ট ঘেঁষে।
৬৬তম মিনিটে প্রতি আক্রমণে দারুণ সুযোগ পেয়েছিল ফুলহ্যাম। ‘টু-অন-ওয়ান’ পরিস্থিতিতে আন্দ্রেয়াস পেরেইরার পাস ইউনাইটেডের অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার হ্যারি ম্যাগুইয়ারের গোড়ালিতে লেগে দিক পাল্টালে বেঁচে যায় ইউনাইটেড।
আট মিনিট পর প্রতি আক্রমণে আবার সুযোগ পায় ফুলহ্যাম। এবার চমৎকার স্লাইডে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী ডিফেন্ডার মার্তিনেস।
৮২তম মিনিটে আলেহান্দ্রো গারনাচোর ক্রস প্রায় পেয়েই যাচ্ছিলেন র্যাশফোর্ড। তবে পড়ে গেলেও শেষ মুহূর্তে পা পেছনের দিকে নিয়ে বলের দিক পাল্টে দেন টেটে, নিয়ন্ত্রণে নেন গোলরক্ষক।
পাঁচ মিনিট শেষ হয় ইউনাইটেডের অপেক্ষা। কাসেমিরোর কাছ থেকে বল পেয়ে দারুণ ক্রস করেন গারনাচো। তার সঙ্গেই ৬১তম মিনিটে বদলি নামা জার্কজি সারেন বাকিটা।
এরপর গার্নাচো আরো এক সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি।
তবে খেলার ধরন পালটে যায় গার্নাচো নামার পরেই।
শেষ বিশ মিনিটে তার দুর্দান্ত দুটি ক্রোসের একটি থেকেই ম্যাঞ্চেস্টার আদায় করে নেয় গোল।ফলে জয় দিয়েই ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ শুরু হলো অলরেডদের।