গত সিজনে করেছেন ২০ গোল ও ৩ এসিস্ট। এর আগের সিজনে ওয়াটফোর্টের মত দলের হয়ে খেলেও করেছেন ১১ গোল। গোল করাটা যে পেদ্রোর নিয়মিত অভ্যাস, সেটা নতুন করে বলার কিছু নেই। তবে পেদ্রো নিজেকে আলাদা করেছেন অন্য জায়গায়। ব্রাইটনের নাম্বার নাইন যে জ্বলে উঠেন বড় ম্যাচ পেলেও।
ইপিএলে ব্রাইটন বড় নাম নয়, ডি জার্বির আমলে নিজেদেরকে চমক দেখালেও ইপিএলের মধ্যম সারির দল বলা হয় তাদেরকে। সেক্ষেত্রে ইপিএলের টপ সিক্সের বিপক্ষে আন্ডারডগ হয়েই নামে ব্রাইটন। তবে সেখানে ব্যাতিক্রম ব্রাইটনের তারকা পেদ্রো। বড় দল পেলেই যেন জ্বলে উঠেন পেদ্রো।
সর্বশেষ ম্যাচেও পেদ্রোর কল্যাণে জায়ান্ট আর্সেনালকে তাদের মাটিতেই রুখে দেউ ব্রাইটন। শুরুতে হ্যাভার্টজের গোলে পিছিয়ে পড়ে আর্সেনাল। তবে ৫৮ মিনিটে আর্সেনালের বিপক্ষে ব্রাইটনের হয়ে একমাত্র গোল করেন জোয়াও পেদ্রো। শুধু গোলই করেননি, এই ম্যাচের সর্বোচ্চ রেটিং্ধারী খেলোয়াড়ও তিনি।
তবে এটাই প্রথম নয়, সর্বশেষ ম্যাচে বিগ সিক্সের আরেক দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এর বিপক্ষে গোল পান পেদ্রো। সে ম্যাচে তো জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ব্রাইটন, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারায় ২-১ গোলে। এর আগে গত সিজনে চেলসির বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে এসিস্ট করেন।গোল করেন গত সিজনের শেষ চারে থাকা এস্টন ভিলার বিপক্ষে।
স্পার্সকে গত সিজনে ৪-২ গোলে হারায় ব্রাইটন। আর সেখানে জোড়া গোল করেন পেদ্রো, করেন এক এসিস্টও। যেখানে পেনাল্টি শুটআউটে ভোগে ব্রাজিলের খেলোয়াড়রা, সেখানে এই জায়গায় দারুণ দক্ষ তিনি। গত প্রিমিয়ার লীগে চেলসির বিপক্ষে দুই ম্যাচে করেন ১ গোল ও ১ এসিস্ট। গত সিজনেও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এর বিপক্ষে করেন গোল।
এখন পর্যন্ত ম্যানচেস্টার সিটি বাদে বিগ সিক্সের বাকি পাচ দলের বিপক্ষে গোল আছে তার। সব মিলিয়ে বিগ সিক্সের বিপক্ষে ১৬ ম্যাচে ১০ গোলে অবদান পেদ্রোর। বড় ম্যাচে যেন ব্রাইটনকে একাই পথ দেখান পেদ্রো।
ব্রাজিলের হয়ে সর্বশেষ মাঠে নেমেছিলেন ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে। এখন পর্যন্ত মাঠে নামা হয়েছে ঐ একবারই। অথচ নিয়মিত সুযোগ পেলে পেদ্রো কি করতে পারেন তা প্রমাণ করেছেন ব্রাইটনে। তবে কোচ ডরিভালের আমলে সুযোগ থেকেই বঞ্চিত হচ্ছেন এই নাম্বার নাইন৷ হয়ত পেদ্রোর হাত ধরে কাটতে পারত ব্রাজিলের গোলক্ষরার সমস্যা।