অলিম্পিকে আর্জেন্টিনার প্রথম ম্যাচ নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। প্রথমে ২ গোলে পিছিয়ে পড়া, এরপর এক গোল শোধ। শেষ সময়ে এক সমতা ফিরলেও মাঠের উত্তেজনা, এরপর অফসাইডে গোল বাতিল ও মরোক্কোর কাছে হার। সব মিলিয়ে শুরুটা মোটেও ভালো যায়নি আর্জেন্টিনার। এর সাথে উকি দিচ্ছিল টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়ার শঙ্কাও।
তবে সেই শঙ্কা আর্জেন্টিনা কিছুটা উড়িয়ে দেয় নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে। এবার এশিয়ান দল ইরাককে হারায় আর্জেন্টিনা। শুরুতে আলমাদা গোল করেন আর্জেন্টিনার হয়ে, এরপর গন্ডো ও ফার্নান্দেজের গোলে ৩-১ ব্যাবধানে জয় পায় আর্জেন্টিনা। যে জয়ে টেবিলের শীর্ষে চলে এসেছে আর্জেন্টিনা।
তবে টেবিলের শীর্ষে এলেও পয়েন্টে কারো থেকেই এগিয়ে যেতে পারেনি আর্জেন্টিনা। বরং গ্রুপের সব দলের সাথেই পয়েন্টে সমানে সমান আর্জেন্টিনা। তাই শেষ ম্যাচটা মোটেও সহজ হবেনা আর্জেন্টিনার জন্য। পান থেকে চুন খসলেই গ্রুপ পর্বে বাদ পড়ার আছে সম্ভাবনা।
তবে সেখানে একটা দিকে সুবিধা পাবে আর্জেন্টিনা। গ্রুপের শেষ ম্যাচে ড্র করলেই পরের রাউন্ডে যাবে আলভিসেলস্তারা। কেননা ইরাকের সাথে ২ গোলের ব্যাবধানে জিতে গোল ব্যাবধানে সবার থেকে এগিয়ে আছে আর্জেন্টিনা। এরপর বর্তমানে গোল ব্যাবধানে সবার উপরে চলে যায় আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনার গ্রুপে আর্জেন্টিনার গোল ব্যাবধান প্লাস এক। বাকি দুই দলের গোল ব্যাবধান শুন্য। আর এক দলের গোল ব্যাবধান মাইনাস ওয়ান। সেক্ষেত্রে সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানেই আর্জেন্টিনা।
অর্থ্যাৎ শেষ ম্যাচে ড্র করতে পারলেই পরের রাউন্ড নিশ্চিত আর্জেন্টিনার। কেননা তবে অন্য তিন দলকে চেয়ে থাকতে হবে গোল ব্যাবধানের দিকে। আর সবার চেয়ে এগিয়ে থাকায় ড্র করলেই যে আর্জেন্টিনা চলে যাবে, তা নিশ্চিত। অবশ্য গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবার জন্য জয়ের দিকেও থাকতে হবে আলাদা নজর তাদের।
তবে কোনভাবে হেরে গেলে এই আসর থেকে বাদ পড়তে হবে আর্জেন্টিনা। আর সেখানে কোন সম্ভাবনা থাকবেনা পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার। সেখানে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ ইউক্রেন। এই দলটি শেষ ম্যাচে হারিয়েছে মরোক্কোকে। যাদের কাছে ২-১ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট শুরু করে আর্জেন্টিনা। সুতারাং এই ম্যাচটাকে কোনমতেই ছোট করে দেখার সুযোগ নেই আর্জেন্টিনার।
সব মিলিয়ে এই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ৩০ জুলাই রাত ৯ টায়। এবার দেখা যাক, নকআউট স্টেজে এই ম্যাচ জিতে পারি দিতে পারে কিনা আর্জেন্টিনার ২৩ না পেরোনো যুবারা।