আলভারেজকে আর্জেন্টিনার সমর্থকরা চাইলেই লাকি চার্ম বলতে পারেন। রাজা মিডাসের মত যেখানেই হাত দিয়েছেন, সেটাই সোনা হয়ে গেছে। নইলে এত বছর শিরোপাক্ষরা কাটানো আর্জেন্টিনা কিভাবে পায় একের পর এক শিরোপা। যে চ্যাম্পিয়নস লীগ নিয়ে ছিল সিটির এত বদনাম, তেলের টাকায় সব পাওয়া যায়, গ্লোরি পাওয়া যায়না, এই অপবাদও যাদের জুটেছিল। সেই ম্যানচেস্টার সিটি চ্যাম্পিয়নস লীগ পেলো আলভারেজের ছোয়ায়। এমনকি ইউরোপে আসার আগে জিতেছেন কোপা লিপার্তোদেস। আলভারেজ যেন সর্বজয়ী একজন।
২০২১ থেকে ২০২৪, এই ৩ বছরে আলভারেজ যা অর্জন করেছেন, তা নেইমার ভিনিসিয়াসদের স্বপ্নের মত। এক বিশ্বকাপ জয় কত খেলোয়াড়ের আরাধ্য। সেই বিশ্বকাপ জয় আলভারেজ করেছেন নিজের প্রথম বিশ্বকাপে এসেই। অথচ ৩ বার বিশ্বকাপ খেলে নেইমার এই শিরোপা হাতে নিতে পারেননি। ভিনিসিয়াসও ব্যার্থ হয়েছেন এই আসর থেকে।
সম্মলিতভাবে কনফেডারশন কাপ বা ফাইনালসিমা শিরোপা নেইমার ও ভিনিসিয়াস মিলে একবারই জিতেছেন। কোন সন্দেহ নেই, সেই আসরে নিজের সেরাটাই দেখিয়েছেন নেইমি। একই সাথে নিজ মহাদেশীয় শিরোপা কোপা লিপার্তোদেস জয় করেছেন নেইমার। তবে এখানেও পিছিয়ে নেই আলভারেজ। এই আসর জয় করা হয়ে গেছে তারও। একই সাথে জিতেছেন ফাইনালসিমাও। বরং অন্য অনেক জায়গায় নেইমারকে গেছেন ছাড়িয়েও।
নেইমার ও আলভারেজ জিতেছেন সমান একটি করে চ্যাম্পিয়নস লীগ। অথচ আলভারেজ এই আসর খেলেছেন মাত্র দুই সিজন। আর প্রায় এক দশক এই আসর খেলে মাত্র এক শিরোপা নেইমির। সেটিও বছর দশক আগে। এই জায়গায় আলভারেজ থেকে এগিয়ে ভিনিসিয়াস, তিনি জয় করেছেন দুটি চ্যাম্পিয়নস লীগ। কিন্ত এই চ্যাম্পিয়নস লীগ বাদে ভিনির অর্জন খাতা একদম শুন্যই।
আলভারেজ ৩ বছরে দুইবার কোপা আমেরিকা জয় করেছেন, অথচ ভিনিসিয়াস ও নেইমার কেউই এই আসরের শিরোপা পাননি। ২০১৯ সালে কোপা আমেরিকার শিরোপা পায় ব্রাজিল, তবে এই আসরে ছিলেন না নেইমার। বিপরীতে ২০২১ ও ২০২৪, এই দুই আসরে কোপা আমেরিকা জয় করেন আলভারেজ। অর্থ্যাৎ এখানেও এগিয়ে নেইমার ও ভিনিসিয়াস থেকে।
এক আলভারেজ ৩ বছরে যা জয় করেছেন, নেইমার ও ভিনিসিয়াস তা পুরো ক্যারিয়ারেই জয় করতে পারেননি। ক্লাবে আলভারেজের সাথে কিছুটা টক্কর দিতে পারলেও জাতীয় দলে যেন একদম ব্যার্থ দুইজন। অথচ এই আলভারেজকেই তারে নানা সময় উপহাস করে। আর্জেন্টাইন সমর্থকরা বলতেই পারে চাইলে, করতে থাক তোমরা অযথা ট্রল, আমরা অর্জন করতে থাকি।