বর্তমান বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেসাররা ভালোই পারফরম্যান্স দেখিয়ে যাচ্ছে । কদিন আগেই দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ওডিআই সিরিজ জিতিয়েছে তারা। তবে টেস্টে আশানুরূপ পারফরম্যান্স দেখাতে পারেনি। তার মধ্যে আবার তাসকিন শরিফুলরা ইনজুরিতে পরে।আর মুস্তাফিজও টেস্ট ক্রিকেট খেলছে না। সব মিলিয়ে সামনের শ্রীলঙ্কা সিরিজে পেসারদের নিয়ে ভালোই চিন্তায় পড়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
গত শুক্রবার আইসিসির ওয়েবসাইটে মোস্তাফিজকে নিয়ে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে। তাতেই মুস্তাফিজ বলেছেন যে, ‘টেস্ট খেলতে চাই কি চাই না, এ নিয়ে ক্রিকেট বোর্ড জানতে চাইলে, তাদেরকেই নিজের ভাবনা জানাব। বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে দলের বড় ভাইয়েরা বিসিবি সভাপতির সঙ্গে কথা বলেন। প্রয়োজনে আমিও বলব। যদিও তিনি আমার বিষয়টি ভালো করেই জানেন।’
এই মুহূর্তে সুস্থতাই ফিজের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে দীর্ঘদিন সার্ভিস দিতে টেস্ট নিয়ে ভাবতে নারাজ তিনি।
কাটার মাস্টার বলেন, ‘আমি লম্বা সময় ধরে বাংলাদেশকে সার্ভিস দিতে চাইলে আমার ফিট থাকাটা জরুরি। এজন্য তিন সংস্করণের মধ্যে বেছে খেলাটাই সেরা উপায়। এক্ষেত্রে কোন ফরম্যাটে আমার সাফল্য বেশি, তা দেখে সংস্করণ বাছাই করছি।’
তিনি বলেন, ‘পরিসংখ্যান বলে, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে আমার সাফল্য বেশি। তাই এই দুই সংস্করণে বেশি মনোযোগ দিচ্ছি। সর্বোপরি, বিশ্ব ক্রিকেটের অনেক ক্রিকেটারই ক্যারিয়ার বড় করতে সংস্করণ বেছে খেলছেন।’
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সবশেষ টেস্ট খেলেন মোস্তাফিজুর রহমান। এরপর লাল বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়েন তিনি।
সেই থেকে এখন পর্যন্ত জিম্বাবুয়ে, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলেছে টাইগাররা। স্বাভাবিকভাবেই সেগুলোতে দেখা যায়নি মোস্তাফিজকে। তবে শোনা যাচ্ছে, এখন আবার তাকে ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে খেলাতে চাচ্ছে বিসিবি। তবে এতে আগ্রহ নেই তার। মূলত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার দীর্ঘায়িত করতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
শরিফুল, তাসকিন, এবাদতের অনুপস্থিতিতে দলে মুস্তাফিজের প্রয়োজনটা অনেক। টিম ম্যানেজমেন্ট মুস্তাফিজকে দলে ফেরানোর জন্য যথেষ্ট প্রচেষ্টা করবে। তবে মুস্তাফিজ তাতে সাড়া দিবে কিনা,তাতো সময়ই বলে দেবে।