বিদায়, হ্যাঁ বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটারের বিদায়। নিন্দুকদের জশন বানানোর উপলক্ষ্য এনে দিলেন দুনিয়ার প্রথম অলরাউন্ডার যিনি শিকার করেছেন ৭০০ উইকেট রান করেছেন ১৪ হাজার। অবসরের টেবিলে তিনিই ছুড়লেন প্রথম কষাঘাত।
ফিতা কামড়ে মাথা বাকিয়ে খেলা সাকিবকে অবসরের টেবিলে দেখে নিন্দুকদের মুখে এক চিলতে হাসির খোড়াক এনে দিয়েছেন ঐ সাকিব যিনি টেস্ট ক্রিকেটের চতুর্থ সেরা অলরাউন্ডার যিনি একই টেস্টে শতকের সাথে নিয়েছিলেন ১০ উইকেট। ইয়ান বোথাম ইমরান খানদের শিবিরে সবচেয়ে ছোট্ট ছেলেটির বিদায়।
পারফরম্যান্সে সাকিল সুলভ ঘ্রান নেই, সাকিবের ফুরিয়ে যাওয়ার করুন সুর ভাসছে তবুও সাকিব বিদায় বলছেন না। কারন তার নাকি টাকার প্রতি অনেক লোখ, একটা টেস্ট ম্যাচ খেলে অনেক বেশি টাকা পান যার কারনে সাকিব টেস্ট ক্রিকেটকে আকড়ে ধরে রাখছে। কিন্তু কে বলবে এই সাকিব টাকার সাকিব না, দেশকে একটু বেশি দেয়ার চেষ্টা থেকেই এতএত সমালোচনা শোনা এত এত পরিশ্রম করে যাওয়া। থার্ড পার্টির হেল্প নিয়ে হলেও রান করা ক্রিকেটের জন্য নিবেদন রাখা। ক্রিকেটই যার ধ্যান জ্ঞান।
কিন্তু যখন বুঝলেন ক্রিকেট তাকে ছাড়তে হবে খুব শীগ্রই তখন ই সাকিব বরাবরের মতো আনএক্সপেক্টেড ডেলিভারি দিলেন, একেবারে আর্ম বল যাকে বলে টেস্ট এন্ড টি-টোয়েন্টি ২ ফরম্যাট থেকে বিদায় বললেন। প্রেস কনফারেন্সের টেবিলে বসে বাংলাদেশের কেউ যখন সাহস করে রিটায়ারমেন্টে কিংবা এটাই শেষ ম্যাচ বলতে পারে না তখনই সাকিবের আবির্ভাব। সবাই যা পারে না সাকুব তাই পারেন, জানান দেন বিদায়, ২ ফরম্যাট থেকে চিরতরে বিদায় বললেন সাকিব আল হাসান।
টি-টোয়েন্টিতে শেষ ম্যাচ সাকিব খেলে ফেলেছেন, টেস্ট ম্যাচের ও শেষ দেখে ফেলেছেন। বাকি আছে ওয়ানডে সেটিও খুব সম্ভবত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অবধি যাবে এরপর আর না। সব কিছুই যেন সাকিব আগে থেকে পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন যাকে বলে হোম ওয়ার্ক।
সাকিব চাইলেই তো আর কয়েকটা দিন খেলতে পারতেন, আঙ্গুলের ইঞ্জুরি সেড়ে উঠতে আর কদিন লাগতো। কিন্তু সাকিব চাননি এমনটা হোক, দলের বোঝা নিয়ে দলকে সার্ভিস দিতে চাননি সাকিব, নাকি এবারের সমালোচনা টা একটু বেশিই গায়ে মেখেছিলেন আল হাসান? হয়তো হবে নয়তো না সাকিব বিদায় বলছেন এটাই আপাতত খবর। নিন্দুকদের জন্য যা আনন্দ উপলক্ষের সবচেয়ে বড় আয়োজন। ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা অলরাউন্ডারের বিদায়ে নিন্দুকরা খুশি হলেও ক্রিকেটের বাইশ গজ মিস করবে সাকিব আল হাসানকে।