শুরুটা ইরান করেছিল ভালোই। ইংলিশ আক্রমণ একের পর এক রুখে দিয়ে আভাস দিচ্ছিল, অত সহজ হবে না তাদের কাছ থেকে ৩ পয়েন্ট ছিনিয়ে নেওয়াটা। তবে ম্যাচের আধঘণ্টা পর সে ধারণাটাকে ভুল প্রমাণ করল ইংল্যান্ড। ৩৫ মিনিটে প্রথম গোল পাওয়ার পরের দশ মিনিটে আরও দুটো গোল জড়াল ইরানের জালে। তাতে প্রথমার্ধ শেষেই ত্রাহি মধুসূদন দশা হয়ে গেছে এশিয়ার দলটির।
লড়াইটা যে ইরানের রক্ষণ আর ইংলিশদের আক্রমণেরই হতে যাচ্ছে, তা অনুমিতই ছিল। তবে ৪ মিনিটের মাথায় সবাইকে চমকে দিয়ে ইরানই একটা সুযোগ পেয়ে বসেছিল, পেতে পারত পেনাল্টিও, যদিও শেষমেশ রেফারি তাতে সায় দেননি। এরপর ইংল্যান্ড একটা সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি।
তবে ইরান ম্যাচের ১০ মিনিটে বড় একটা ধাক্কা খায়। ডিফেন্ডার হোসাইনির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে মাথায় আঘাত পান গোলরক্ষক আলী রেজা। এরপর মাঠে তার চিকিৎসা চলে বেশ কিছুক্ষণ। খেলা বন্ধ থাকে প্রায় ১০ মিনিটের মতো। শেষমেশ তাকে ছাড়তে হয় মাঠই।
অনাকাঙ্ক্ষিত সেই বিরতি শেষে ইরান আক্রমণে উঠেছিল একবার। তবে ইংলিশ রক্ষণকে খুব বেশি বিপদে ফেলতে পারেনি। এরপরই ইংল্যান্ড আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসে। ৩২ মিনিটে হ্যারি ম্যাগুয়েরের হেডার গিয়ে প্রতিহত হয় ক্রসবারে। গোলটা যে খুব বেশি দূরে নেই, সেটাও আঁচ করা যাচ্ছিল তখন।
বিষয়টা নিশ্চিত করলেন জুড বেলিংহ্যাম। ৩৫ মিনিটে লুক শর ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে বলটা আছড়ে ফেলেন ইরানের জালে। ১-০ গোলে এগিয়ে গিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ইংলিশরা।
প্রথম গোলের পরই যেন ইরানের বাঁধটা গেল ভেঙে। ৪৩ মিনিটে হ্যারি ম্যাগুয়েরের বাড়ানো বল থেকে দ্বিতীয় গোলটা করেন বুকায়ো সাকা। এরপর যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে হ্যারি কেইনের বাড়ানো নিচু ক্রসে গোল করেন রাহিম স্টার্লিং। তাতেই ৩-০ গোলে এগিয়ে, ইরানের মনোবল ভেঙে দিয়ে প্রথমার্ধ বিরতিতে যায় ইংল্যান্ড।