বাংলাদেশ – ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার চলা টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ হেরেছে ৭উইকেটের বিশাল ব্যবধানে।যেখানে হতশ্রী পারফর্মেন্স ছিল টাইগারদের
বিশেষ করে বললে টাইগার ব্যাটারদের।১ম ইনিংসের ১০৩ রান এবং ২য় ইনিংসে ২৪৫ রানে বলার মতো রান কেবল করতে পেরেছেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবং উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান।
তাদের দুইজন পেয়েছেন ফিফটির দেখা। অন্যদিকে টাইগার ব্যাটিং লাইনাপের এক সময়ের অন্যতম ভরসার প্রতীক মুমিনুল হক এবং নাজমুল হাসান শান্তের পারফরম্যান্স যাচ্ছে তাই।
এবছর তারা দুইজন মিলে সমান ১৩ ইনিংসে ব্যাট করে মাত্র একটি ফিফটির দেখা পেয়েছেন।যা বাদ দিলে এইবছর খেলা প্রায় সব টেস্টেই দলকে ডুবিয়েছেন এই দুই ব্যাটসম্যান।
শান্ত ব্যাপারে এখন রীতিমতো বিরক্ত টাইগার টিম ম্যানেজমেন্ট। কেননা তাকে গুরুত্বপূর্ণ নাম্বার তিনের জন্য তৈরী করতে চাইছিল টিম ম্যানেজমেন্ট।
তবে শান্ত সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে পুরপুরি। গুরুত্বপূর্ণ তিন নাম্বার পজিশন তার পরিসংখ্যান টা এমন ১৬ ম্যাচ খেলে ২৮ ইনিংসে ২৮.২৫ গড়ে রান করেছে ৭৬৩।যেখানে ফিফটি মোটে একটা।
তবে সব শেষ খেলা ৫ ইনিংসে শান্ত আউট হয়েছেন এক অংকের ঘরে।তাই তার এই ব্যর্থতার বোঝা আর টানতে চাইছে না টাইগার টিম ম্যানেজমেন্ট।
শান্ত লম্বা সময়ের জন্য দল থেকে বাদ দেওয়ার পরিকল্পনাও আছে তাদের।তবে আপাতত সেন্ট লুসিয়া টেস্টে শান্তর পরিবর্তে দলে আসতে পারেন সম্প্রতি ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ সময় কাটানো মুসাদ্দেক হোসেন।
অন্যদিকে টাইগারদের সাবেক টেস্ট ক্যাপ্টেন মুমিনুল হকের অবস্থা আরো বেশি ভয়াবহ।তার খেলা সব শেষ ৯ ইনিংসেই এক অংকের ঘরে আউট হয়েছেন মুমিনুল।
তাকেও ২য় ম্যাচে দলে রাখা নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট দুইভাগে বিভক্ত।টিম ম্যানেজমেন্টের এক পক্ষ থেকে তাকে রেস্ট দেওয়ার পক্ষে।তবে অন্য পক্ষ চাইছে তাকে আরেকবার সুযোগ দিতে।
তবে যদি শেষ টেস্ট মুমিনুল হকের খেলা না হয় তবে তার বদলে দলে আসতে পারেন দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা এনামুল হক বিজয়।এ সিরিজ দিয়েই অনেকদিন পর জাতীয় দলের সাথে যুক্ত হয়েছেন বিজয়।
একের পর এক হারে বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে যে ক্ষত তৈরী হয়েছে এই পরিবর্তন গুলি হয়তো সেখানে মলমের মতো কাজ করবেন বলে মনে করেন সবাই।কিন্তু এই হারের বৃত্ত থেকে টাইগারদের বের করে আনতে হলে প্রয়োজন আরো বিস্তর প্লান নিয়ে কাজ করা।
একনজরে দেখেনিন ১১ সদস্যের শক্তিশালী সম্ভাব্য একাদশঃ সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, মাহমুদুল জয়, এনামুল হক বিজয়, লিটন কুমার দাস, সোহানুর রহমান সোহান, মোসাদ্দেক হোসেন, মেহেদি মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান, এবাদত এবং খালেদ।
1 Comment