তাওহীদ দ্য হৃদয়, নামটা ভিন্ন করেই বলতে হচ্ছে।
বলতে বোধহয় বাধ্যই করছেন হৃদয়, একা হাতে যা
করলেন, করে দেখালেন তাতে কুমিল্লাকে জয় পেতেই হতো।হলোও তাই, কুমিল্লা জয় পেলো খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে দারুন এক ম্যাচে!টার্গেট
টা ১৬৫, যে দলটায় লিটন দাস উইল জ্যাকসরা আছেন সে দলের কাছে কুড়ি ওভারের খেলায় এ টার্গেট খুব বড় তো নয়ই।নাগালের মধ্যেই বটে।কিন্তু না লিটন জ্যাকস দুজনেই ফিরলেন,
ফেরালেন মুকিদুল মুগ্ধ ওয়েন পার্নেল।দুজনার বলের ক্যাচ একে অপরে নিয়ে বেশ দারুন এক
কাম্বিনেশনই দাড় করালেন। তবে দাড়াতেই হতো হৃদয়কে, ২০০ রানের হরহামেশা দেখা পাওয়া জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে খুলনার ১৬৪কে
টেক্কা দিতে আসলেন হৃদয়।২৯ বলে অর্ধশতক হাকিয়ে হিরো অব টু নাইট ই বনে গেলেন হৃদয়। এক ম্যাচে শতক হাকিয়ে হয়েছিলেন হিরো,
চট্টগ্রামে ফিরে সে ধারা বজায় রাখতে পারেননি।
প্রথম ম্যাচে ডাক হাকানোর পর আজকের ম্যাচে
খেললেন অসাধারণ এক ইনিংস এতে বোধহয় বলতেই, হ্যাটস অব টু ইউ ওয়ান্ডার বয়!
কুমিল্লার জয় এখন রংপুর রাইডার্সের সমান।৯ ম্যাচে ৭ জয় ২ হার।হার দিয়ে শুরু করা কুমিল্লা সেমি ফাইনালের দৌড়ে এগিয়ে আছে রংপুরের সাথে যৌথ ভাবে।এগিয়ে থাকতেই হতো।যে দলটায় আছেন মঈন আলি জনসন চার্লসের মতো
ক্রিকেটার। বোলিং দিয়ে ধরাশায়ী করার জন্য মুস্তাফিজ তো আছেনই, তাদের কল্যানে ম্যাচ জয়
নিশ্চিত করলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তবে গল্প থেকে বাদ যাবে খুলনা টাইগার্স।হরহামেশা ২০০ হওয়া মাঠে কুমিল্লাকে ১৬৪ করে দারুন এক ফাইট
ব্যাক তো দিয়েছেই। শুরুতেই কুমিল্লাকে দিয়েছে
চাপ, সেই চাপকে গলিয়ে অবশ্য ম্যাচ বের করেছেন জাকের হৃদয়রা।নজর কেড়েছেন গতিতে
নাহিদ রানা। গতির সাথে লাইন লেন্থ ঠিক থাকলে
অবশ্য এই পেইসারই হতেন আজকের ম্যাচের নায়ক, কিন্তু নাহ, হয়নি তা। যা হওয়ার তা হয়েছেন
হৃদয়, একেবারে সুযোগের ব্যবহারটা চমৎকার ভাবেই করেছেন দ্য ম্যান হৃদয়!
কুমিল্লা বরাবরই প্লেয়ার কেনার টেবিলে থাকে হট এন্ড রাশ হয়ে, কথা ছিলো আসবেন জনসন চার্লস, আসলেন খেললেন, একই কথা মঈন আলি
তিনিও খেললেন, বল হাতে উইকেট পাচ্ছেন, জয়ের চেষ্টায় এগিয়ে রাখছেন কুমিল্লাকে।পেন পেপারে হট ফেভারিট এই দলটাকে মঈন দিয়েছেন
ভালোই। ভালোও করছে দলটা।সেমি তো খেলবেই
ফাইনাল খেলাটাও উচিৎ বোধহয়। সেটা করতে হবে মাঠে থেকে, করার কথা তাওহীদ দ্য হৃদয়দের।
পারবেন তো, পারবেন ই মনে হচ্ছে। পারা উচিৎ শতভাগ!