বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবল লীগের সবচেয়ে বড় আসর বিপিএল ফুটবল। প্রতিবার এই লীগ শুরুর আগে ক্লাবগুলো একটি প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্ট খেলে থাকে। আগে ফেডারেশন কাপ হলেও এখন স্বাধীনতা কাপ দিয়েই প্রস্তুতি সারেন দলগুলো। সোমবার বিকেলে বাফুফে ভবনে আসন্ন স্বাধীনতা কাপ টুর্নামেন্টের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে।
লিগের দশ দল ও বাছাই থেকে উত্তীর্ণ ৩ দলসহ মোট ১৩ দল চার গ্রুপে বিভক্ত। বাছাই পর্বের তৃতীয় দল বিমানবাহিনী ফুটবল দল কোন গ্রুপে পড়বে সেটার নির্ধারণ হয়েছে। বিমানবাহিনী বি গ্রুপে পড়ায় এই গ্রুপটি শুধু চার দলের বাকি তিন গ্রুপ তিন দলের। স্বাধীনতা কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস পড়েছে ডি গ্রুপে। ঐ গ্রুপে তাদের দুই প্রতিপক্ষ চট্টগ্রাম আবাহনী ও নেভী ফুটবল দল। গত আসরে রানার্স আপ শেখ রাসেল পড়েছে ঢাকা আবাহনীর সঙ্গে বি গ্রুপে। এই গ্রুপের অন্য দুই দল রহমতগঞ্জ এবং বিমানবাহিনী ফুটবল দল। ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব সি গ্রুপে। তাদের দুই প্রতিপক্ষ ফর্টিজ ও সেনাবাহিনী। গত আসরে চমক দেখানো বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে এ গ্রুপের অন্য দুই দল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও ব্রাদার্স ইউনিয়ন।
২৭ অক্টোবর শুরু হওয়া স্বাধীনতা কাপের গ্রুপ পর্ব শেষ হবে ৩ নভেম্বর। প্রতি গ্রুপের শীর্ষ দুই দল কোয়ার্টার ফাইনাল খেলবে। এএফসি কাপ ও জাতীয় ফুটবল দলের ব্যস্ততায় স্বাধীনতা কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল পর্ব শুরু হবে ২ ডিসেম্বর থেকে।
তবে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও ভেন্যু জটিলতা কাটছিলো না।এবারের স্বাধীনতা কাপ চারটি ভেন্যুতে হওয়ার কথা ছিল। কুমিল্লা ভেন্যুতে ক্রিকেট পীচ হওয়ায় শেষ মুহূর্তে কিংস অ্যারেনা, গোপালগঞ্জ এবং মুন্সিগঞ্জ ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্ট। তবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে বসুন্ধরা কিংস এরেনায়।
স্বাধীনতা কাপের গ্রুপ :
গ্রুপ এ- বাংলাদেশ পুলিশ, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব, ব্রাদার্স ইউনিয়ন।
গ্রুপ বি- ঢাকা আবাহনী, শেখ রাসেল, রহমতগঞ্জ ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনী।
গ্রুপ সি- মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, ফর্টিজ, আর্মি ফুটবল দল।
গ্রুপ ডি- বসুন্ধরা কিংস, চট্টগ্রাম আবাহনী ও নেভী ফুটবল দল।