যে সব সংগঠকরা তৃণমূল পর্যায়ের মেধাবী ক্রীড়াবিদ তৈরি এবং পরিচর্যার কাজ করছেন বছরের পর বছর ধরে, তাদের সংগঠন জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদ শুক্রবার কক্সবাজারে ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠান করেছে। শুক্রবার বিকেলে কক্সবাজারের হোটেল রয়েল টিউলিপে অনুষ্ঠিত হয় এই মিলনমেলা।
জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠকদেরদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সম্ভাবনাময়ী খেলায় ক্রিকেট বোর্ড থেকে পৃষ্ঠপোষকতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এবং বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
‘’আপনারা চার-পাঁচটা খেলা চিহ্নিত করেন। পাঁচ বছর মেয়াদী পরিকল্পনা তৈরি করে বিসিবিতে পাঠান। শাহেদ ভাইকে (বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের মহাসচিব) সঙ্গে নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবো। আপনাদের সব সমস্যার সমাধান করা হবে। যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এতোটা ক্রীড়াপ্রেমী সেখানে এরকম একজন প্রধানমন্ত্রীকে পেয়ে যদি ওনাকে কাজে লাগাতে না পারি, তার চেয়ে দুঃখজনক আর কি হতে পারে। এই জায়গাটা কাজে লাগাতে হবে। ওনার সঙ্গে কথা বলে আপনাদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।‘’
প্রধানমন্ত্রীর সাথে জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দেয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার ক্রিকেট কার্যক্রম পরিচালনায় প্রতি বছর বিসিবি থেকে দেয়া হয় অনুদান দেয়া হয়। তবে এই অনুদানের বাইরেও শুক্রবার জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের ঈদ পূর্ণমিলনী সভায় বিসিবি থেকে আর একটি বিশেষ বোনাসের ঘোষণা দিয়েছেন পাপন।
‘’আজ এতো সুন্দর একটা অনুষ্ঠানে আমাকে ডাকার জন্য আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি। শাহেদ ভাইয়ের সাথে এর আগে কখনো এমন অনুষ্ঠানে যাইনি আমি। সেই খুশি থেকে স্পেশাল বোনাস হিসেবে ২ লাখ টাকা করে দেয়ার ঘোষণা দিলাম।’
এর বাইরেও জটিল কিডনি রোগে আক্রান্ত শেরপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নাজিমুল হকের চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহে বিসিবি থেকে ৫ লাখ টাকা আর্থিক অনুদানের ঘোষণা দিয়েছেন। এই ক্রীড়া সংগঠকের চিকিৎসায় জেলাও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদও ২ লাখ টাকা আর্থিক অনুদানের ঘোষণা দিয়েছে।
২০১৫ থেকে ২০২২ এই ৮ বছরে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে বিশেষ অবদান রাখায় নাজমুল হাসান পাপন এবং সৈয়দ শাহেদ রেজাকে বিশেষ পুরস্কারে ভুষিত করেছে। এই দুই সংগঠকের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে এক ভরি ওজনের একটি করে স্বর্ণপদক।