টানা তিন জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে উঠল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। প্রথম দুই ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জাপানকে হারিয়ে সেমিতে এক পা দিয়ে রেখেছিল বাংলার যুবারা। শ্রীলঙ্কাকে ছয় উইকেটে হারিয়ে আজ বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) আসরের সেমি নিশ্চিত করলেন রাব্বি-আশিকরা।
দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমি গ্রাউন্ডে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামে শ্রীলঙ্কা। ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৯৯ রান জমা করে দলটি। জবাবে ৪০.৫ ওভারে চার উইকেটে ২০৪ রান করে বাংলাদেশ।
ব্যাট হাতে দারুণ শুরু করেন দুই ওপেনার পুলিন্দু পেরেরা ও রাভিশান ডি সিলভা। পুলিন্দুকে ফিরিয়ে এই দুজনের ৩৭ রানের জুটি ভাঙেন মারুফ মৃধা। ২৯ বলে ২৮ রান আসে পুলিন্দুর ব্যাট থেকে। অবশ্য তার বিদায়ে কিছুটা চাপে পড়লেও সিনেথ জয়াবর্ধনের ব্যাটে সেই চাপ সামাল দেয় লঙ্কানরা।
রাভিশানকে নিয়ে ৩৮ রানের জুটি গড়েন সিনেথ। দলীয় ৭৪ রানে আরেক ওপেনার রাভিশানকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে স্বস্তি দেন রাব্বি। এই ব্যাটারের বিদায়ের পরই খেই হারায় লঙ্কানরা। অল্প সময়ের মধ্যেই হারায় আরও পাঁচ ব্যাটার। শেষদিকে বিশ্ব লাহিরুর ব্যাটে ভর করে চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায় লঙ্কানরা।
বাংলাদেশের হয়ে ওয়াসি সিদ্দিক তিনটি ও অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি নেন দুই উইকেট।
২০০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের জয়ের ভিত গড়ে দেন আশিকুর রহমান শিবলি। ১৩০ বলে ১১ চার ও দুই ছক্কায় ১১৬ রানে অপরাজিত থাকেন এই ওপেনার। তবে, শুরুতেই উইকেট হারিয়েছিল বাংলার যুবারা। আরেক ওপেনার জিসান আলম সাজঘরে ফেরেন শূন্য রানে। দ্বিতীয় উইকেটে রিজওয়ান চৌধুরীকে নিয়ে ৭৪ রানের জুটি গড়েন শিবলি। ৩৯ বলে ৩২ রান করে বিশ্ব লাহিরুর বলে কট বিহাইন্ড হয়ে ফেরেন রিজওয়ান।
আরিফুল ইসলাম ১৮ এবং আহরার আমিন ২৩ রান করে আউট হলেও বাংলাদেশকে ম্যাচে রাখেন শিবলি। শেষ পর্যন্ত দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। সহজ জয়ে নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের সেমিফাইনাল।
লঙ্কানদের পক্ষে দুই উইকেট নেন গারুকা সংকেত।