সবশেষ গেল মার্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে ছিলেন রিয়াদ। এরপর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি সিরিজেই বাদ পড়েন তিনি। সে সময়ে নির্বাচকরা জানিয়েছিলেন, তরুণদেরকে বাজিয়ে দেখতে অভিজ্ঞ এই ব্যাটারকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে।
এরপর সুযোগ মেলেনি ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত আফগানিস্তান সিরিজেও। এমনকি তাকে ছাড়াই দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই এশিয়া কাপে পাড়ি জমায় বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতিতে ধরেই নেওয়া হয়, বিশ্রাম না বরং বাদই দেওয়া হয়েছে তাকে। যার ফলে দেশের মহলে শুরু হয় নানান আলোচনা-সমালোচনা। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ভক্ত সমর্থক যারা আছেন, তাদেরকে রিয়াদের দলে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করতেও দেখা যায়।
যে তরুন ক্রিকেটারদেরকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছিল, তাদের বাজে পারফরম্যান্সের কারণে নিউজিল্যান্ড সিরিজে রিয়াদকে ফেরানো হয়। শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ স্কোয়াডেও তার জায়গা হয়। এরপর বিশ্বকাপে যথাক্রমে অপরাজিত ৪১, ৪৬ এবং ১১১ রানের ইনিংস খেলেন রিয়াদ।
কথিত বিশ্রামের নামে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে প্রায় বাদই দেওয়া হয়েছিল। তবে তরুণরা নিয়মিত পারফর্ম করতে না পারার কারণে মাস চারেক পর আবারও জাতীয় দলের জার্সিতে দেখা মেলে অভিজ্ঞ এ ক্রিকেটারের। এ নিয়ে কম আলোচনা-সমালোচনা হয়নি। তবে ক্যারিয়ারের কঠিন সময়েও এ নিয়ে গণমাধ্যমে কোনো কথা বলেননি অভিজ্ঞ এ ব্যাটার।
এবার চলতি বিশ্বকাপে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকানোর পর সংবাদ সম্মেলনে এসে মাহমুদউল্লাহ জানালেন, তিনি অনেক কিছু বলতে চান। কিন্তু এটা সঠিক সময় নয়।
রিয়াদকে নিয়ে নানান সময়ে কতশত আলোচনা-সমালোচনাও হয়েছে। তবে এখনও এসব নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে নারাজ রিয়াদ। তার দাবি, এখন সঠিক সময় না।
সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহর ভাষ্য, যা সময় কেটেছে ভালো কেটেছে, কিছু বলতে চাইছি না। যদিও অনেক কিছু নিয়ে বলতে চাই। কিন্তু এটা সঠিক সময় না। আমার লক্ষ্য ছিল শুধুই দলের জন্য খেলা, অবদান রাখা। আমার ক্যারিয়ার জুড়েই আমি অনেক আপস অ্যান্ড ডাউন দেখেছি। ইটস ফাইন।
তিনি আরও যোগ করেন, আমি জানি না, হয়তো আল্লাহ শক্তি দিয়েছিলেন। আমি চেষ্টা করেছি, ফিটনেস ঠিক রেখেছি। আর আগেও বললাম, সব প্রশ্নের উত্তর এখন দেব না। সময় হলে দেব, শেষে দেব।