পাকিস্তান বনাম আফগানিস্তানের মধ্যকার দ্বিতীয় একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে চরম নাটকীয়ভাবে আফগানিস্তানকে ১ উইকেটে হারালো পাকিস্তান।
আফগানদের দেওয়া ৩০২ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে শেষ ওভারে পাকিস্তানের দরকার ছিলো ১১ রান।পাকিস্তানের দুই পেসার নাসিম শাহ ও হ্যারিস রউফ মিলে এক বল হাতে রেখেই জয় ছিনিয়ে নেয়।আগের ওভারের শেষ বলে ছক্কা হাঁকানো শাদাব খানকে শেষ ওভারের প্রথম বল করার সময় ম্যানকার্ড আউটের ফাঁদে ফেলেন ফজলুল ফারুকী। তবে শেষ ওভারে তার করা প্রথম বলে চার মারেন নাসিম শাহ।২য় বলে রান নিতে ব্যর্থ হলেও ৩য় বলে নেন ১ রান।৪র্থ বল থেকে হ্যারিস রউফ নেন তিন রান।শেষ দুই বল থেকে পাকিস্তানের দরকার তখন ৩ রান।ফারুকীর করা পঞ্চম বলে বাউন্ডারি মেরে দলকে জেতান নাসিম শাহ।
তবে মূলত পাকিস্তানের জয়ের ভিত গড়ে দেয় টপ-অর্ডারের ব্যাটাররা।ফখর জামান ও ইমাম-উল-হকের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৫২ রান।ব্যক্তিগত ৩০ রান করে আউট হন ফখর।এরপর অধিনায়ক বাবর আজম ও ইমাম মিলে গড়েন ১১৮ রানের জুটি।ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূরণ করে আউট হন বাবর। ইমামের ব্যাট থেকে আসে ৯১ রান।তবে এরপরই ছন্দপতন হয় পাকিস্তানের। ১৭০ রানে ২ থেকে ২১১ রানে ৬ উইকেট হারায় পাকিস্তান। তবে শেষ দিকে শাদাব খানের ৩৫ বলে ৪৮ রানের ওপর ভর করেই জয়ের দিকে এগোতে থাকে পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত শেষ ওভারের নাটকীয়তায় এক উইকেটের জয় নিয়ে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নিলো পাকিস্তান।
এর আগে শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটায় টস জিতে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান।আগের ম্যাচে ৫৯ রানে অলআউট হওয়া আফগানরা এদিন যেন দেখালেন ভিন্ন রূপ।দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান গড়েন ২২৭ রানের জুটি। ব্যক্তিগত ৮০ রানে আউট হন ইব্রাহিম। আর ওয়ানডেতে নিজের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৫১ রান করেন গুরবাজ।১৪ চার ও ৩ ছক্কায় তার ইনিংসটি সাজান তিনি।শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩০০ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান।
আগামী ২৬শে আগস্ট কলম্বোয় সিরিজের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুদল।