October 16, 2024
House #1, Road #17, Rupnagar Residential Area, Mirpur, Dhaka-1216
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

শেষ ওভারে ভারতের জয়

লক্ষ্য ছোট হতে পারে। পাহাড়সমও হতে পারে। কিন্তু ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানে শেষের আগে শেষ লেখা নয়। গত টি-২০ বিশ্বকাপের ম্যাচটা ছিল একটু ভিন্ন স্বাদের। বাকি ম্যাচগুলোর মতো এশিয়া কাপেও মাত্র ১৪৭ রানের সংগ্রহ নিয়ে লড়াই করলো পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত ভারত দুই বল থাকতে ৫ উইকেটে জিতে সর্বশেষ হারের প্রতিশোধ নিল।

 

ভারতের শেষ তিন ওভারে দরকার ছিল ৩২ রান। ১৮তম ওভার নাসিম শাহ চারটি ডট বল করেও খান ১১ রান। দুই ওভারে ২১ রান থেকে শেষ ওভারে জয়ের জন্য সাত রানে নিয়ে আসেন হার্ডিক পান্ডিয়া। শেষ ওভারের প্রথম বলে জাদেজা বোল্ড হয়ে যান। পরের দুই বল থেকে আসে এক রান। ম্যাচ যেন একটু কঠিনই মনে হচ্ছিল। কিন্তু আত্মবিশ্বাসী পান্ডিয়া ছক্কা মেরে দলকে জয় এনে দেন।

 

রোববার দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস গুরুত্বপূর্ণ ছিল। শিশিরের প্রভাবে রান তাড়া করা সহজ, বল হাতেও শুরুতে উইকেটের সুবিধা মেলে। ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত ভুল করেননি। ভুবনেশ্বর কুমার ও হার্ডিক পান্ডিয়ার তোপে এক বল থাকতে পাকিস্তান অলআউট হয়।

 

এর আগে পান্ডিয়া বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ২৫ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। টপ-মিডল অর্ডারের তিন উইকেট নিয়ে কোমর ভেঙে দেন পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন আপের। এছাড়া ভুবনেশ্বর কুমার ৪ ওভারে ২৬ রান খরচায় নেন ৪ উইকেট। অর্শদ্বীপ নেন দুটি উইকেট। পাকিস্তানের হয়ে তরুণ নাসিম দুটি ও মোহাম্মদ নওয়াজ নিয়েছেন ৩ উইকেট।

চারে নামা রবিন্দ্র জাদেজা ও পাঁচে নামা সূর্যকুমার যাদব ছোট একটা জুটি দেন। যাদব ফিরে যান ১৮ বলে ১৮ রান করে। এরপর হার্ডিক ও জাদ্দুর জুটি দলকে জয়ের কাছে পৌঁছে দেয়। বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার জাদেজা ফিরে যাওয়ার আগে ২৯ বলে দুই চার ও দুই ছক্কায় ৩৫ রান করেন। পান্ডিয়া খেলেন ১৭ বলে হার না মানা ৩৩ রানের ইনিংস। ভারতীয় পেস অলরাউন্ডার চারটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান।

 

জবাব দিতে নেমে প্রথম ওভারেই শূন্য করে বোল্ড হন ওপেনার কেএল রাহুল। অভিষিক্ত পেসার নাসিম শাহ তুলে নেন তাকে। রোহিত শর্মার সঙ্গে বিরাট কোহলি জুটি গড়ে দলকে ৫০ রান পূর্ণ করান। ওই রানে রোহিতের অবদান মাত্র ১৮ বলে এক ছক্কায় ১২ রান। পরেই আউট হন কোহলি। তিনি ৩৪ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৩৫ রান করেন। রানে ফেরার ইঙ্গিত দেন।

 

দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৪২ বলের মুখোমুখি হয়ে চারটি চার ও একটি ছক্কা তোলেন তিনি। অন্য ওপেনার বাবর আজম শুরুতে দুই চারে ১০ করে আউট হন। একই রান করেন তিনে নামা ফখর জামান। চারে নেমে ইফতিখার আহমেদ ২২ বলে ২৮ রান যোগ করেন। পাকিস্তানকে লড়াই করার পুঁজি এনে দেন শেষ দুই ব্যাটার হ্যারিস রউফ (১৩) ও শাহনেওয়াজ দাহানি (১৬)।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *