October 16, 2024
House #1, Road #17, Rupnagar Residential Area, Mirpur, Dhaka-1216
ক্রিকেট বাংলাদেশ

শান্ত-সাকিব জোটে জয়ে ফিরলো বাংলাদেশ

ধর্মশালায় প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়। এরপর পরাজয়ের বৃত্তে আটকা পড়ে টাইগাররা। ধর্মশালা থেকে চেন্নাই, পুনে, মুম্বাই, কলকাতা ঘুরলেও ভাগ্য বদলায়নি বাংলাদেশের। অবশেষে দিল্লিতে এসে পরাজয়ের বৃত্ত ভাঙলো সাকিব বাহিনী।

 

অরন জেটলি স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেট হারালো বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে আাসালঙ্কার সেঞ্চুরিতে ২৭৯ করে লংকানরা। জবাবে শান্ত-সাকিবের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ম্যাচের ৪২ তম ওভারেই জয় ছিনিয়ে নেয় টাইগাররা।

 

২৮০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে টানা ব্যর্থ তানজিদ তামিম এদিনও রানে ফিরতে ব্যর্থ হন। দুই চারে ৯ রান করে আউট হন তিনি। এদিন শুরু থেকেই আগ্রাসী রূপে খেলতে থাকেন লিটন। যদিও ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ২টি করে চার ও ছক্কার সাহায্যে ২৩ রান করে আউট হন লিটন। এরপর শান্তকে সঙ্গে নিয়ে ১৬৯ রানের জুটি গড়েন সাকিব। দুজনই শতরানের কাছে গিয়ে আউট হন। এই বিশ্বকাপে ব্যাটিংয়ে রান না পাওয়া সাকিব স্বরূপে ফিরলেন এদিন। ১২ চার ও ২টি ছক্কায় ৬৫ বলে ৮২ রান আসে তার ব্যাট থেকে। শান্তর ব্যাটে আসে ৯০ রান। দলীয় ২১০ রানে সাকিব ফেরার পর ২১১ তে ফেরেন শান্ত। ফলে কিছুটা বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। তবে দুই অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিক সেই বিপর্যয় সামাল দেন। দুজনের ৩৮ রানের জোট ভাঙে মাদুশঙ্কার বলে মুশফিক (১০) বোল্ড আউট হলে। এরপর দ্রুত বিদায় নেন রিয়াদও। তার ব্যাটে আসে ২২ রান। ২৫৫ রানে ৬ উইকেট হারালে আবারো কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ। দুই ছক্কা মেরে তওহিদ হৃদয় সেই চাপ কাটিয়ে উঠতেই ২৬৯ রানে অপ্রয়োজনীয় শর্ট খেলে আউট হন মিরাজ। তবে বাকি কাজটুকু সারেন তানজিম সাকিব। ২ চারে তার ব্যাটে আসে ৯ রান। হৃদয় করেন ১৫। শেষ পর্যন্ত ৪১.১ ওভারে ৩ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছায় টাইগাররা। এই জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার স্বপ্ন এখনো কিছুটা টিকে থাকলো টাইগারদের।

 

লংকানদের হয়ে মাদুশঙ্কা সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট লাভ করেন।

 

এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামা লংকানদের প্রথম ওভারেই চাপে ফেলেন শরিফুল ইসলাম। কুশল পেরেরাকে কট বিহাইন্ডের ফাঁদে ফেলেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে অবশ্য সেই চাপ সামাল দেন পাথুম নিশানকা ও কুশল মেন্ডিস। দলীয় ৬৬ রানে সাকিবের শিকারে সাজঘরে ফেরেন মেন্ডিস(১৯)। মেন্ডিস ফেরার পরের ওভারে ফেরেন নিশানকাও। তানজিম সাকিবের বলে বোল্ড হওয়ার আগে করেন ৪১ রান। ৭২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলা শ্রীলঙ্কা আবারো ঘুরে দাঁড়ায় সামারাভিক্রমা ও চারিথ আসালঙ্কার ৬৩ রানের জুটিতে। দলীয় ১৩৫ রানে সামারাভিক্রমা(৪১) কে আউট করেন সাকিব। ম্যাথিউস ফেরেন টাইমড আউটের শিকার হয়ে। এরপর আসালঙ্কা ও ধনঞ্জয় ডি সিলভা মিলে ফের ৭৮ রানের জোট গড়লে বড় সংগ্রহের দিকে এগোতে থাকে শ্রীলঙ্কা। তবে ব্যক্তিগত ৩৪ রানে মিরাজের বলে স্টাম্পিং হন সিলভা। শেষের দিকে একাই লড়াই করেন আসলঙ্কা। তুলে নেন ব্যক্তিগত শতকও। ৬ চার ও ৫ ছয়ে ১০৮ রানের ইনিংস খেলে আসালঙ্কা বিদায় নিলে তিন বল বাকি থাকতে অলআউট হয় লংকানরা। তাদের স্কোরবোর্ডে জমা হয় ২৭৯ রান।

 

বাংলাদেশের পক্ষে তানজিম সাকিব নেন ৩টি উইকেট। দুটি করে উইকেট নেন সাকিব ও শরিফুল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *