ইউরো ২০২৪ বাছাই পর্বের স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল পর্তুগাল। শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) স্তাদিও দো দ্রাগাও স্টেডিয়ামে এই ম্যাচে নামার আগেই মূলপর্ব অনেকটা নিশ্চিত ছিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোদের। এরপর ঘরের মাঠে রোনালদোর জোড়া গোলে স্লোভাকিয়াকে ৩-২ গোলে হারিয়ে মূলপর্বে জায়গা নিশ্চিত করেছে পর্তুগিজরা।
এদিন ম্যাচের অষ্টম মিনিটে রোনালদোর চমৎকার ব্যাকহিল ফ্লিক গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন সফরকারীদের রক্ষণভাগ। এর কিছুটা সময় পরই অফসাইডের খড়গে পড়ে গোলবঞ্চিত হন বার্নাডো সিলভা।
তবে ম্যাচের ১৮তম মিনিটে পর্তুগিজদের লিড এনে দেন গনসালো রামোস। তার গোলেই এগিয়ে যায় সেলেকসাওরা।
ম্যাচের ২৯তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলের লিড বাড়ান রোনালদো। এরপর আর কোনো গোল না হলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় পর্তুগাল।
বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণের গতি বাড়ায় পর্তুগিজরা। এতে স্লোভাকিয়ার রক্ষণভাগকে অনেকটা খাবি খেতে হয়। তবে আক্রমণ সামলে ম্যাচের ৬৯তম মিনিটে ব্যবধান কমায় স্লোভাকিয়া। সুযোগ পেয়ে তা কাজে লাগান ডেভিড হ্যাংকো। তার গোলে ব্যবধান ২-১ এ নিয়ে আসে দলটি।
যদিও তা বেশিক্ষণ জিইয়ে রাখতে পারেননি সফরকারী দলটি। ম্যাচের ৭২তম মিনিটে অধিনায়ক রোনালদোর গোলে আবারও এগিয়ে যায় পর্তুগিজরা।
এরপর ম্যাচের শেষ দিকে স্তানিস্লাভ লভোৎকারের চমকে ব্যবধান ৩-২ এ নামিয়ে আনে স্লোভাকিয়া। তবে শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হলে ৩-২ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে পর্তুগিজরা। এই জয়ে সাত ম্যাচের সবকটিতে জিতে তিন ম্যাচ হাত রেখেই ইউরো ২০২৪ এর মূলপর্ব নিশ্চিত করলো রোনালদোরা।
অন্য ম্যাচে এমবাপ্পের জোড়া গোলে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়েছে ফ্রান্স। জাতীয় দলে ফিরেই গোল করে রেকর্ডে নাম লেখালেন কাতার বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ এই গোলদাতা। ডাচদের বিপক্ষে ম্যাচের শুরুর দিকেই গোল উৎসবে মাতেন এমবাপ্পে। ম্যাচের সপ্তম মিনিটে জোনাথন ক্লাউসের পাস থেকে দলকে এগিয়ে নেন তিনি। এটা ছিল এমবাপ্পের ৪১তম আন্তর্জাতিক গোল। এই গোলের মধ্য দিয়ে সাবেক কিংবদন্তী মিচেল প্লাতিনিকে স্পর্শ করেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামেন ফ্রান্সের সর্বোচ্চ গোলদাতা ওলিভার জিরুদ (৫৪ গোল)। তবে তিনি এদিন খুব একটা চমক দেখাতে পারেননি।
বিরতির পর আরও লিড বাড়ান এমবাপ্পে। দ্বিতীয়ার্ধে অষ্টম মিনিটের মাথায় গোল করেন ফরাসি এই ফরোয়ার্ড। ফ্রান্সের হয়ে ৪২ গোল নিয়ে এখন এককভাবে চতুর্থ স্থানে আছেন এমবাপ্পে।