মার্চে ফিফা প্রীতি ম্যাচে আগে চিন্তার ভাজ দেখা যায় ব্রাজিল সমর্থকদের মাঝে। ইঞ্জুরির কারণে দল ঘোষণার আগেই ছিটকে যান নিয়মিত গোলরক্ষক এলিসন বেকার। এরপর দল ঘোষণার পর আরেক গোলরক্ষক এডারসনও পড়েন ইঞ্জুরিতে। এর আগে বিগত কয়েক বছর গোলরক্ষক নিয়ে তেমন চিন্তাই করেনি ব্রাজিল দল, সেখানে ইংলিশদের বিপক্ষে তাদের লীগে খেলা দুই গোলরক্ষকের ইঞ্জুরিতে দুশ্চিন্তা দেখা যায় ব্রাজিল সমর্থকদের মনে। তবে ব্রাজিল সমর্থকদের চিন্তার আসান হয়ে যান একজন। তিনি এথলেটিকো পারানেসের তরুণ গোলরক্ষক বেন্টো। ইংলিশদের বিপক্ষে রাখেন ক্লিনশিট। এরপর স্পেনের বিপক্ষেও করেন একের পর এক সেভ৷ দুই ম্যাচে মোট ৮ সেভ করে সমর্থকদের করেন মন জয়।
শুধু ব্রাজিল সমর্থকদের নয়, এরপর ইউরোপের বড় বড় ক্লাবের মনও জয় করেন বেন্টো ম্যাথুইজ৷ তাকে নিতে তার ক্লাব এথলেটিকো পারানেসকে প্রস্তাব পাঠানো শুরু করে চেলসি, ইন্টার মিলানের মত ক্লাব। সেখান থেকেই যেন নিজের স্বপ্নের ক্লাব ইন্টার মিলানকে বেছে নিলেন বেন্টো। তবে বেন্টোকে বিক্রি করার ব্যাপারে তার ক্লাব এথলেটিকো পারানেসের ছিল শক্ত দাবি। তার রিলিজ ক্লজ ২০ মিলিয়ন ইউরো বা ২২০ কোটি টাকা পরিশোধ করেই তাকেই নিতে হবে যেকোন দলের।
আর সেই শর্তের দিকেই ধাবিত হচ্ছে ইন্টার মিলান। মিলানটি বেন্টোকে পাওয়ার ব্যাপারে বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে জানা গিয়েছে বেন্টোর সাথে মৌখিক চুক্তিও হয়েছে ইন্টার মিলানের। এর আগে ব্রাজিলের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক জুলিও সিজার ইন্টার মিলানের হয়ে দীর্ঘদিন খেলেছেন। বেন্টো ও ইন্টারের যোগাযোগ করাতে তিনি রেখেছেন মুখ্য ভুমিকা।
যদি বেন্টোকে ২২০ কোটি দিয়ে ইন্টার মিলান দলে নেয়, তবে রেকর্ড গড়তে যাবে তারা। এর আগে বিভিন্ন ব্রাজিলিয়ানকে চড়াদামে নিয়েছে ইউরোপের দলগুলো। এমনকি ৭০ মিলিয়ন দিয়ে এলিসন বেকারকে দলে নেয় লিভারপুল। তবে ব্রাজিল থেকে সরাসরি কোন গোলরক্ষককে এত দাম দিয়ে ক্রয় করেনি কোন ইউরোপীয়ান ক্লাব। আর তাতেই রেকর্ডের পাতায় নাম লেখাবেন এই ব্রাজিলিয়ান।
বেন্টোকে ইন্টার মিলান নিতে চায় দীর্ঘেমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে। এই সিজনে ক্লাব ছেড়েছেন দলের গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানা ক্লাব ছেড়ে যোগ দেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। তার বদলি হিসেবে এই সিজনে ইয়ান সোমারকে দলে ভেড়ায় ইন্টার। তবে সোমারের বর্তমান বয়স ৩৫ বছর, দীর্ঘদিন ক্লাবে থাকতে পারবেন না তিনি। সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতের কথা ভেবে বেন্টোকে দলে নেয় ইন্টার মিলান। আগামী সিজন থেকেই তাই নিয়মিত ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন বেন্টো। দীর্ঘদিনের জন্য সার্ভিস দিতে পারবেন ইন্টারকে।
এলিসন, এডারসনের সাথে থেকে নিজের শেখার সুযোগ বেন্টো। এই দুইজনের পর গোলবারের বড় দায়িত্ব বেন্টোকেই সামলাতে হবে। সেই দায়িত্ব একটা সময় ভালোভাবে পালন করুক বেন্টো, ইউরোপে মেলে ধরুক নিজেকে, এটাই চাওয়া সবার।