চ্যাম্পিয়ন লিগে ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে পর্তুগিজ ক্লাব ব্রাগার বিপক্ষে ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই ঝাঁপিয়ে পড়ে পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন রিয়ালের ইউক্রেনীয় গোলরক্ষক লুনিন। শুরুতেই বড়সড় ধাক্কা থেকে রক্ষার পরেই রিয়াল যেন চ্যাম্পিয়নস লিগের রিয়াল হয়ে ওঠে। এরপর ব্রাগাকে তেমন কোনো সুযোগ না দিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় ৩-০ ব্যবধানে। প্রথমার্ধে ব্রাহিম দিয়াজ দলকে এগিয়ে দেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে গোল করেন দুই ব্রাজিলিয়ান ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও রদ্রিগো।
টানা ৪ জয়ে ‘সি’ গ্রুপ থেকে সবার আগে নকআউট পর্বে নাম লিখিয়েছে রিয়াল। সর্বশেষ ২০১৪-১৫ মৌসুমে গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ৪ ম্যাচ জিতেছিল লস ব্লাঙ্কোরা। সে সময়ও ক্লাবটির দায়িত্বে ছিলেন বর্তমান কোচ কার্লো আনচেলত্তি।
এ নিয়ে প্রথম ক্লাব হিসেবে টানা ২৭ মৌসুম নকআউট পর্বে উঠল তারা। সর্বশেষ ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে নকআউট পর্বে খেলতে পারেনি রিয়াল। মূলত লা লিগার আগের মৌসুমে ষষ্ঠ হওয়ায় চ্যাম্পিয়নস লিগের ওই মৌসুমে খেলারই সুযোগ পায়নি ক্লাবটি।
রিয়ালের নতুন রেকর্ডের রাতে গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় পড়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। বাজে সময় পার করতে থাকা ইউনাইটেড কাল ৪-৩ ব্যবধানে হেরেছে ডেনমার্কের ক্লাব কোপেনহেগেনের কাছে।
অথচ কোপেনহেগেনেই জন্ম নেওয়া রাসমুস হজলুন্ডের জোড়া গোলে আধঘণ্টার মধ্যে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিল রেড ডেভিলরা। সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু ৪২ মিনিটে মার্কাস রাশফোর্ড সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে খেই হারিয়ে ফেলে। ১০ জনের দলের পরিণত হওয়া ইউনাইটেড এরপর খেয়েছে ৪ গোল।
বিরতিতে যাওয়ার আগেই দুই গোল শোধ করে স্বাগতিক কোপেনহেগেন। ৬৯ মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেজ পেনাল্টি থেকে গোল করলে আবারও এগিয়ে যায় ইউনাইটেড। কিন্তু শেষ দিকে আরও দুই গোল খেয়ে হেরে বসে এরিক টেন হাগের দল।
একটিমাত্র জয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের তলানিতেই পড়ে আছে ইংলিশ ক্লাবটি। ৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে কোপেনহেগেন। এই গ্রুপ থেকে সবার আগে নকআউট পর্বে উঠে গেছে বায়ার্ন মিউনিখ। জার্মান চ্যাম্পিয়নরা গত রাতে গালাতাসারাইকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়াও নিশ্চিত করেছে।
চ্যাম্পিয়ন লিগের বাকি ম্যাচের ফলাফল :
বায়ার্ন মিউনিখ ২ : ১ গালাতাসারাই
আর্সেনাল ২ : ০ সেভিয়া
সাল্জবুর্গ ০ : ১ ইন্টার মিলা
রিয়াল সোসিয়েদাদ ৩ : ১ বেনফিকা
নাপোলি ১ : ১ ইউনিয়ন বার্লিন
পিএসভি আইন্দহফেন ১ : ০ লাস