অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের মধ্যকার বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচের দুই ইনিংসেই রান বন্যা দেখলো ক্রিকেট বিশ্ব। আগে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া করে ৩৫১ রান। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তান তুলতে পারে ৩৩৭ রান।
অস্ট্রেলিয়া দেওয়া বিশাল লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে পাকিস্তান। দুই ওপেনার ফখর জামান আর ইমাম-উল-হক ভালো শুরু করলেও কেউই নিজেদের ইনিংস বড় করতে পারেনি। দলীয় ৩৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। প্যাট কামিন্সের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ইমাম। আরেক ওপেনার ফখর জামানকে ফেরান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। আব্দুল্লাহ শফিক, শাদাব খানরাও এদিন ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন।
৮৩ রানের ৪ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়াকে এরপর খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলেন ইফতেখার আহমেদ ও বাবর আজম। পঞ্চম উইকেট জুটিতে দুজনে মিলে গড়েন ১৪৪ রানের জুটি। দলীয় ২২৭ রানে আউট হন ইফতেখার। ৬ চার আর ৪ ছয়ে ৮৫ বলে ৮৩ রান করেন তিনি। ৫৯ বলে ঝড়ো ৯০ রান করে রিটায়ার্ড আউট হন বাবর। এরপর মোহাম্মদ নওয়াজ এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে চেষ্টা করলেও তাকে সঙ্গ দিতে পারেনি অন্য কেউই। ৪২ বলে ৫০ রান করেন নওয়াজ।
শেষ পর্যন্ত ৪৭.৪ ওভারে ৩৩৭ রানে থামে পাকিস্তানের ইনিংস। আর তাতেই ১৪ রানে জয় পায় অস্ট্রেলিয়া।
অজিদের পক্ষে লাবুশেন সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট লাভ করেন।
এর আগে হায়দ্রাবাদের রাজীব গান্ধী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু পায় অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও মিসেল মার্শ। তাদের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৮৩ রান। অর্ধশতক থেকে মাত্র দুই রান দূরে থেকে ফেরেন ওয়ার্নার। ব্যক্তিগত ৩১ রানে আউট হন মার্শ। দুজনই ফেরেন উসামা মীরের শিকার হয়ে।। তিনে নেমে স্মিথ করেন ২৭ রান। তবে অস্ট্রেলিয়ার বড় স্কোরের নেপথ্যে বড় অবদান ম্যাক্সওয়েল, ক্যামেরুন গ্রিন আর জস ইংলিসের।
৫ চার আর ৬ ছয়ে ৭১ বলে ৭৭ করেন ম্যাক্সওয়েল। গ্রিনের ব্যাট থেকে আসে ৫০ রান। আর শেষের দিকে ইংলিস করেন ৩০ বলে ৪৮। সবমিলিয়ে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩৫১ রান তুলতে সক্ষম হয় অস্ট্রেলিয়া।
পাকিস্তানের পক্ষে উসামা মীর সর্বোচ্চ দুটি উইকেট লাভ করেন।