নামটা এমিলিয়ানো মার্টিনেজ,কিন্তু পেনাল্টি যখন ঠেকাতে দাড়ান তখন হয়ে যান এলিয়েন মার্টিনেজ।
তিনি যেন আগে থেকেই জানেন কোথায় শ্যটু করবে প্রতিপক্ষ, তিনি আগে থেকেই জানেন কোন হাইটে বল আসবে।আরো একটি ম্যাচ,প্রথমে খেলার মধ্যে দুর্দান্ত সেইভ,এরপর পেনাল্টি সেইভ! আর ট্রাইবেকারে ম্যাচ গড়ালে আরো একবার প্রথম দুই শ্যটই ঠেকিয়ে দেন তিনি! এমির এলিয়েন হওয়ার গল্প থাকছে প্রতিবেদনে :-
ম্যাচের ৬০ মিনিটে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে পেনাল্টির বাশি বাজান রেফারি।
১-০ তে পিছিয়ে থাকা ইকুয়েডরের সামনে তখন সুযোগ স্পট কিক থেকে নিশানা ভেদ করে ম্যাচে সমতায় ফিরে ঘুড়ে দাড়ানোর সুযোগ।
কিন্তুু এটা যে খুব সহজে হচ্ছে না,সেটা অনুমেয় ছিলো।
কারণ ইকুয়েডরের অধিনায়ক ভ্যালেন্সিয়া যে গোল-কিপারের বিপক্ষে পেনাল্টি নিতে যাচ্ছিলেন তার নাম ইমি মার্টিনেজ।
যার বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে গোল আদায় করে নেয়া যেনো পৃথিবীর কঠিন কাজের একটি।
পেনাল্টির সময় গোলবারে মার্টিনেজ কে দেখলেই, যেনো প্রতিপক্ষ পেনাল্টি শূটারের বুকে কাপুনি উঠে যায়,
আত্মবিশ্বাস নেমে যায় শূন্যতে।
ইকুয়েডরের পেনাল্টি শূটার এনি ভ্যালেন্সিয়ারও পেনাল্টি নেবার আগে, হয়েছিলো তেমন টাই।
শূট করার অন্তিম মূহুর্তে যখন, ক্যামেড়ার লেইন্স তাক করা হয়েছিলো ভ্যালেন্সিয়ার দিকে তখন, ইকুয়েডের কাপ্তানের চোখে মুখে ফুটে উঠছিলো ভয়ের চিত্র, ইমি মার্টিনেজ গোলবারে দেখতে যেনো নিজের নার্ভ ঠিক রাখতে পারছিলেন না, কোনভাবে।
এবং শেষ পর্যন্ত সেই চাপ আর নিতে পারলেন না, ভ্যালেন্সিয়া।।।।
মার্টিনেজের সামনে যেনো নূয়ে পড়লেন ইকুয়েডরের নাম্বার থার্টিন,,
গোল পোষ্টে
বল মেরে হাতছাড়া করলেন সমতায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগ।।
খালি চোখে দেখলে গোলবার আর্জেন্টিনা কে বাচিয়ে দিলেও পেনাল্টি থেকে বেঁচে যাওয়ার আড়ালের নায়ক ছিলো মার্টিনেজই।।
ম্যাচে ওই পেনাল্টিতে শেষ থাকলে না ইমি বরং ট্রাইব্রেকার শূট-আউটের সময় আরও একবার ক্রাতা হয়ে দাঁড়ালেন।
একা হাতে সেখানেও বাঁচালেন আর্জেন্টিনা কে, ট্রাইব্রেকার শূট-আউটে লিওনেল মেসি প্রথম শূট মিস করে পুরোপুরি ব্যাকফুটে ঢেলে দেন আকাশী-নীলদের।
আকাশী নীল ফ্যানরা তখন হয়তো মাথায় হাত দিয়ে বসছেন।
শেষ আশাটাও ছেড়ে দিয়েছেন, ঠিক তখনই অন্ধকার রাজ্য আলো জ্বালালেন মার্টিনেজ।।
এই যাত্রাতেও বাঁচিয়ে দিলেন আর্জেন্টিনা কে।
পরপর দুই পেনাল্টি সেভ করে, ব্যাকফুটে থাকা, আকাশী নীল দের প্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছেন ইমি।
শেষ পর্যন্ত ৪-৩ ব্যাবধানে জয়ও তুলে নেয় আর্জেন্টিনা।
এই নিয়ে, নিজের অন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে সব-কয়টি পেনাল্টি শূট-আউটে জিতলেন ইমি মার্টিনেজ।
ইকুয়েডরের বিপক্ষে, কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যাচের শুরু থেকে একেবারে বির্বর্ণ ছিলো আর্জেন্টিনা।
কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে ইকুয়েডর বিপক্ষে আর্জেন্টিনার শুরু টা ছিলো দুঃস্বপ্নের মতন।
ম্যাচের শুরু থেকে বল পজিশনে স্কালোনীর ছেলেরা এগিয়ে থাকলেও, ৩৬ শতাংশ বল দখল নিয়ে আর্জেন্টিনা কে ভুগাতে থাকে ইকুয়েডরের।
দুই উইং দিয়ে সমান তালে আক্রমণ চালিয়ে
গেছে ইকুয়েডরের উংগার।
ম্যাচের ১০ মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ পাই ইকুয়েডর।।
বক্স এর ভিতরে সেই মূহুর্তে, ওয়ান টু ওয়ানে দুর্দান্ত
এক সেভ করে
সে যাত্রায় আর্জেন্টিনা কে বাচিয়ে নেন মার্টিনেজ।
কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালের মতই দুই পা প্রসারিতে করে আর্জেন্টিনা কে বাচিয়ে নেন আর্জেন্টিনা গোলবারের ভরসার প্রতীক।
অবশ্য এর কিছু পর থেকেই ম্যাচে পূর্ন জাগরণ হয়
আর্জেন্টিনার।।
একটু একটু করে নিজেদের ফিরে পেতে শুরু করে।
৩৫ মিনিটে লিসান্দ্র মার্টিনেজের গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।
এবং ওই ১-০ লিডে ৯০ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে থাকলেও যোগ ৫ মিনিটের নাটকে শেষ পর্যন্ত ট্রাইব্রেকার জয় নিয়ে সেমি তে পৌছায় কোপার ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।