১৯৯ রানের পুঁজি নিয়েও ভারতীয় ব্যাটিংয়ের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার পেসাররা। ২ রানের মধ্যেই তুলে নেন টপ অর্ডারের ৩ উইকেট। তবে বিরাট কোহলি এবং লোকেশ রাহুলের ১৬৫ রানের অনবদ্য জুটিতে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় অস্ট্রেলিয়া। ৬ উইকেটের জয় দিয়ে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে শুভসূচনা করল ভারত।
চেন্নাইয়ে ২০০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে এদিন টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার ইশান কিশান, রোহিত শর্মা এবং শ্রেয়াস আইয়ার শূন্য রান করে আউট হন। এরপরই জুটি বাঁধেন কোহলি ও রাহুল। শুরুতে ধীরগতিতে রান তুলতে থাকেন এই দুজন। বাউন্ডারির চেয়ে বেশি মনোযোগ দেন দৌঁড়ে রান নেওয়ায়। বল হাওয়ায় ভাসিয়েও খেলেননি।
তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রানের চাকা সচল হতে থাকে। এর মধ্যেই একবার প্যাট কামিন্সের বলে কোহলির ক্যাচ ফেলে দেন মিচেল মার্শ। সেই ক্যাচ ছাড়াই কাল হলো। এই দুজন দলের রান নিয়ে যান ১৬৭ পর্যন্ত। এরপর ১১৬ বলে ৮৫ করা কোহলি ফিরলেও ততক্ষণে জয়ের অনেক কাছে চলে যায় ভারত। শেষ পর্যন্ত হার্দিক পান্ডিয়াকে সঙ্গে নিয়ে ম্যাচ জিতেই মাঠ ছাড়েন রাহুল। জিতলেও একটি আক্ষেপ রয়ে গেল তার। মাত্র ৩ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি উইকেটকিপার এই ব্যাটার। ১১৫ বলের ইনিংসে ৮টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ২টি ছক্কাও।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে ভারতের স্পিন তোপে ৫০ ওভারের ৩ বল আগে ১৯৯ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। প্রথমেই পেসার জাসপ্রিত বুমরাহর তোপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে কোনো রান করার আগেই ফেরেন মার্শ। এরপর জুটি গড়েন আরেক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার এবং স্মিথ। ৭৪ রানের মাথায় কুলদীপ যাদবের বলে ওয়ার্নার (৪১) ফিরলে ভাঙে ৬৯ রানের এই জুটি। এরপর উইকেটে মাটি কামড়ে বড় জুটি গড়ার দিকে যাচ্ছিলেন নতুন ব্যাটার লাবুশেন এবং স্মিথ। যদিও তারা রান তুলছিলেন ধীরগতিতে।
তবে ১১০ রানের মাথায় স্মিথকে আউট করে জুটি বড় করতে দেনননি জাদেজা। শেষ হয় স্মিথের ৭১ বলে ৪৬ রানের ইনিংস। নিজের করা পরের ওভারে আবারও জাদেজার আঘাত। এবার ফেরালেন ২৭ রান করা লাবুশেনকে। ৩০তম ওভারের দ্বিতীয় বলে লাবুশানকে ফেরানোর ২ বল পরই বিদায় করেন অ্যালেক্স ক্যারিকে।
১১৯ রানে ৫ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়াকে ১৪০ রান পর্যন্ত টেনে নেন ম্যাক্সওয়েল ও সাতে নামা ক্যামেরন গ্রিন। ৩৬তম ওভারে ম্যাক্সওয়েলকে যাদব ফেরানোর পরের ওভারে গ্রিনকে ফেরান আশ্বিন। শেষদিকে, অধিনায়ক প্যাট কামিন্স চালিয়ে খেলার চেষ্টা করলেও ১৫ রানের বেশি করতে পারেননি। বুমরাহর বলে ১৬০ রানের মাথায় ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৪৯.৩ বলে ১৯৯ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া।
ভারতের পক্ষে রবীন্দ্র জাদেজা সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট লাভ করেন। এছাড়া অন্য দুই স্পিনার রবিচন্দ্র অশ্বিন ও কুলদীপ যাদবও দুর্দান্ত বল করেন।