বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের সঙ্গে জিতলেও পরের দুই ম্যাচে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। আগামী ১৯শে অক্টোবর পুনেতে ভারতের বিপক্ষে নিজেদের পরবর্তী ম্যাচে মাঠে নামবে টাইগাররা। বিশ্বকাপের দৌড়ে টিকে থাকতে হলে এই ম্যাচে ভালো করার বিকল্প নেই হাথুরাসিংহের শিষ্যদের। তবে গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিবকে পাবে তো বাংলাদেশ ?
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে চোটে পড়েছিলেন সাকিব। ম্যাচ শেষ না করেই তাকে ছুটতে হয় হাসপাতালে। যে কারণে ম্যাচের শেষদিকে মাঠে ছিলেন না তিনি। পরে জানা যায়, তার পেশিতে চিড় ধরা পড়েছে।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড জানায়, মাংসপেশিতে টান খাওয়ায় অস্বস্তিতে ভুগছিলেন সাকিব। যে কারণে নিউজিল্যান্ড ম্যাচের পর তার এমআরআই স্ক্যান করা হয়। অবশ্য সে সময় স্ক্যান রিপোর্টে কী এসেছে তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি বোর্ড। এবার সেই ইনজুরির সর্বশেষ তথ্য জানাল বিসিবি।
সোমবার ভারতের পুনের টিম হোটেলে দুপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। সেখানে অধিনায়ক সাকিবের সর্বশেষ তথ্য জানান সুজন। সেই সঙ্গে একটা আভাসও যেন দিয়ে রাখলেন সুজন। তিনি বলেন, ‘সাকিব এই ম্যাচ খেলে বড় ইনজুরিতে পড়ুক, সেটা চাই না। তবে আরও একবার স্ক্যান করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
‘ধীরে ধীরে হাঁটা ও মাঠে দৌড়ানোর মধ্যে পার্থক্য আছে। যেহেতু সে গত ম্যাচে রান নিতে গিয়েই ব্যথাটা পেয়েছি। কালকে হয়ত এটা দেখবে। সাকিব যেহেতু চোট পাওয়ার পরেও ব্যাটিং করেছে ১০ ওভারের কোটার বোলিং করেছে। যদি সে নিজেকে কম্ফোর্টেবল মনে করে তাহলে খেলবে। সাকিব চাইছে খেলতে। আমরা তাকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চাইনা। এটা ডিপেন্ড করে ওর শতভাগ ফিটনেসের ওপর’-বলেন টিম ডিরেক্টর।
সুজন আরও বলেন, ‘টুর্নামেন্টের ছয়টা ম্যাচ বাকি আছে আমরা চাই না একটা ম্যাচ খেলে পুরো টুর্নামেন্ট মিস করুক। ডাক্তার-ফিজিওদের ওপর এটা নির্ভর করছে। কোচের মতামতের ব্যাপার না এটা। আমরা চাই না যে এটা খেলে সাকিবের ক্যারিয়ারের জন্য সমস্যা হোক বা লম্বা সময়ের জন্য বিপদে পড়ুক। আমরা চাই যে সাকিব যদি চায় এবং ফিজিওদের মত থাকে তাহলে সে খেলবে। এই ম্যাচ যদি তাকে ছাড়াই খেলতে হয় তাহলে আমরা খেলব।’