ক্রিকেট হোক বা ফুটবল, খেলোয়াড়দের স্বপ্ন থাকে দেশের জার্সি গায়ে চাপিয়ে বিশ্বকাপ খেলার। বিশ্বকাপ কারো শুরু হয় আবার কারো শেষ। এ বিশ্বকাপটাও শেষ আসর হতে পারে অনেকের।
বাংলাদেশ দলের যেমন সাকিব, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ। ভারতের রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার, ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস, মঈন আলী, নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন, টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্টদের হতে পারে শেষ বিশ্বকাপ। এ তালিকায় আছেন আরও অনেকে।
চার বছর পর পর বিশ্বকাপ। এবার যারা খেলছেন পরবর্তী আসরে তারা খেলতে পারবেন কিনা সে আলোচনা অবান্তর। ইনজুরি, বাদ পড়া কিংবা অন্য কোনও সমস্যা থাকতেই পারে। এ যেমন তামিম ইকবাল। কে ভেবেছিল তিনি এ বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন না? ফলে তামিম ইকবালের জন্য ২০১৯ আসরই ছিল শেষ। সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহরা ভাগ্যবান। তাদের শেষটা হচ্ছে ভারতে।
স্বাগতিক দলেও সিনিয়র ক্রিকেটারদের সংখ্যা কম নয়। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, রবীন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দ্রন অশ্বিনরাও হয়ত শেষটা দেখছেন এ আসরে। শিরোপা জিতে স্মরণীয় করে রাখতে চাইবেন তারা।
এ বিশ্বকাপের পর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড দলটাতেও আসতে পারে বড় পরিবর্তন। বেন স্টোকস, জো রুট, জস বাটলারদের জন্য এটাই হতে পারে শেষ বিশ্বকাপ।
বিদায় বলতে পারেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। স্টিভেন স্মিথ, মিচেল মার্শ, মিচেল স্টার্কদের আরেকটা বিশ্বকাপ খেলা হতে পারে কঠিন।
নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের জন্যও শেষ সুযোগ। পেসার ট্রেন্ট বোল্ট ও টিম সাউদিরও বয়স বাড়ছে। এ আসর দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ হতে পারে তাদের।
পাকিস্তান দলটা তুলনামুলক তরুণ। বয়স ত্রিশের আশেপাশে। বেশিরভাগেরই পরের বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা প্রবল। তবে ইফতেখার আহমেদ কিংবা ফখর জামানের বয়স ৩৩ পেরিয়েছে।