শ্রীলঙ্কার পর এবার অস্ট্রেলিয়াকেও ১৩৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারালো দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৩১১ রান তোলে প্রোটিয়ারা। জবাবে মাত্র ১৭৭ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস।
বড় রান তাড়া করতে নেমে মার্নাস লাবুশেন ছাড়া টপ অর্ডারের কেউ লড়াই করতে পারেননি। মিচেল মার্শ (৭), ডেভিড ওয়ার্নার (১৩), স্টিভ স্মিথ (১৯) রানে সাজঘরে ফেরেন। সপ্তম উইকেটে মিচেল স্টার্ক ও মার্নাস লাবুশেন জুটি দলকে খানিকটা এগিয়ে নিয়ে যান। শেষের দিকে স্টার্কের (২৭), কামিন্সের (২২) এ সবমিলিয়ে ৪১তম ওভারে ১৭৭ রানে থামে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। মার্কাস লাবুশেন সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে রাবাদা সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট লাভ করেন।
এর আগে টস জিতে প্রথমে প্রোটিয়াদের ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। শুরু থেকেই অজি বোলারদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে বিশ্বকাপে ব্যাক টু ব্যাক শতরান করেন দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেট কিপার ব্যাটার কুইন্টন ডি’কক। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরির পর এই ম্যাচেও অর্ধশতরানের দেখা পেলো মিডল অর্ডারের তারকা ব্যাটার এইডেন মার্কব়াম। ক্যাপ্টেন টেম্বা বাভুমার ব্যাটে আসে ৩৫ রান। যদিও শেষের দিকে অজি বোলাররা কিছুটা হলেও রানের লাগাম টেনে ধরেছিল। না হলে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোরবোর্ড আরো সমৃদ্ধ হতে পারতো। অস্ট্রেলিয়ার ফিল্ডাররা এদিন প্রায় অর্ধ ডজন ক্যাচ মিস করে। সব মিলিয়ে ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩১১ রান তোলে প্রোটিয়ারা।
এই জয়ে চার পয়েন্ট নিয়ে নেট রানরেটে এগিয়ে থেকে পয়েন্ট তালিকায় সবার উপরে অবস্থান করছে দক্ষিণ আফ্রিকা।