এস্তেভিও উইলিয়ান, ব্রাজিলের ১৬ বছরের একজন কিশোর। নামের পাশে সাধারণ কিশোর উল্লেখ না করার কারণ তিনি এখন আর সাধারণ নেই, দিনে দিনে অসাধারণ হয়ে উঠেছেন। নতুবা ১৬ বছরের একজনের গায়ে তো সহজেই মেসিনহো টাইটেল জোটেনা। ১৬ বছরের এস্তেভিও এর খেলায় মুগ্ধ হয়ে সবাই তাকে এই জেনারশনের সেরা খেলোয়াড় মেসির নামে নিকনেম দিয়েছে।
আগেই মেসিনহোকে নিয়ে কাড়াকাড়ি ছিল ইউরোপের মার্কেটে। এবার সেই কাড়াকাড়িতে নিজেদের এক ধাপ এগিয়ে নিলো ইংলিশ ক্লাব চেলসি। মাত্র ১৬ বছরের এস্তেভিওকে নিতে মোট ৫১ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব চেলসির। যা ডলারের অঙ্কে দাড়ায় ৬০ মিলিয়ন ডলার। আর টাকার অঙ্কে মোট ৬৫৮ কোটি টাকা।
এর আগে ব্রাজিল অনুর্দ্ধ ১৭ দলের হয়ে ৫ ম্যাচে ৩ গোল করে প্রথমবারের মত আলোচনায় আসেন মেসিনহো। সেবার ৩ গোলের সাথে ৩ এসিস্টও করেন মেসিনহো, দলকে নিয়ে যান কোয়ার্টার ফাইনালের মঞ্চে। এরপর পালমারেসের মুল দলেও সুযোগ পান। সেখানে এই সিজনে সব ধরণের কম্পিটিশন মিলিয়ে করেন ১২ ম্যাচে ৫ গোল ও ৩ এসিস্ট। সেখানে পালমারেস অনুর্দ্ধ ২০ দলের হয়ে ৪ গোল ও ২ এসিওট করার পর আসেন মুল দলে। এরপর মুল দলের হয়ে করেন ১ গোল ও ১ এসিস্ট।
গোল এসিস্ট ছাড়াও নিজের স্কিল দিয়ে সবাইকে আকর্ষণ করেন মেসিনহো। তার স্কিল ও খেলার ধরণের সাথে অনেকেই খুজে পান মেসিকে।বিশেষ করে মেসির মত বল পায়ে এবং অল্প জায়গায় সেটাকে টেনে আক্রমণ করতে পারদর্শী এই তরুণ এস্তেভিও উইলিয়ান।
এবার তাই এস্তেভিওকে পেতে মোটা অঙ্কের প্রস্তাব চেলসির। কেননা এই তরুণকে পেতে লাইন দিয়েছিল বার্সেলোনা ও পিএসজির মত ক্লাব। এর আগে দুই দফায় পিএসজির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত করেছে পালমারেস। এস্তেভিও বার্সেলোনায় নিজের যাওয়ার ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেছিল। বার্সেলোনাও তাকে নিতে বেশ আগ্রহী ছিল। তবে ২০২৫ এর আগে কোন ১৮ বছরের তরুণকে সাক্ষর করতে পারবেনা তারা। যে কারণে এবার তাদের টপকে রেসে প্রবেশ চেলসির।
ব্রাজিলের ক্লাব পালমারেস থেকেই উঠে এসেছেন এন্ড্রিক ফিলিপে। ইতিমধ্যে ব্রাজিলের জার্সিতে দুই গোলও পেয়েছেন এই তরুণ। আগামী সিজনেই রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিচ্ছেন এন্ড্রিক। এন্ড্রিকের মতই সমান প্রতিভাবান মেসিনহো। তাই সুযোগ পেলে তিনিও যে আলো ছড়াবেন, তা এক কথায় বলাই যায়। এবার দেখা যাক, বড় অঙ্কের প্রস্তাব দিয়ে তাকে নিজেদের ডেরায় আনতে পারে কিনা চেলসি।