এশিয়া কাপের সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে লাহোরের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটেও মাত্র ১৯৩ রানে গুটিয়ে যায় টাইগাররা।জবাবে ৩৯.৩ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছায় পাকিস্তান।
সহজ লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৩৫ রান তোলে পাকিস্তানের দুই ওপেনার।ব্যক্তিগত ২০ রান করে শরিফুলের বলে এলবিডব্লিউ এর ফাঁদে পড়েন ফখর জামান।এরপর আরেক ওপেনার ইমামকে সঙ্গে নিয়ে আরো ৩৯ রানের জুটি গড়েন বাবর আজম।দলীয় ৭৪ রানে তাসকিনের বলে বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন পাক এই অধিনায়ক।তৃতীয় উইকেট জুটিতে ইমাম-উল হক ও মোহাম্মদ রিজওয়ান মিলে গড়েন ৮৫ রানের জুটি।৫ চার ও ৪ ছয়ে ৭৮ রান করে মিরাজের শিকার হন ইমাম। তবে ব্যক্তিগত ৬৩ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন রিজওয়ান।
বাংলাদেশের পক্ষে শরিফুল,তাসকিন ও মিরাজ একটি করে উইকেট লাভ করেন।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ শুরুতেই হারায় মেকশিফট ওপেনার মেহেদী মিরাজের উইকেট।আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা মিরাজ এদিন মারেন গোল্ডেন ডাক।শান্তর পরিবর্তে দলে জায়গা পাওয়া লিটন দাস ভালো শুরু করলেও ইনিংস লম্বা করতে ব্যর্থ হন।৪ চারে ১৬ রান করেন তিনি।মোহাম্মদ নাঈমের ব্যাট থেকে আসে ২০ রান।
আগের দুই ম্যাচে ব্যর্থ তওহিদ হৃদয় ব্যাট হাতে এদিনও ব্যর্থ।ব্যাটিং বিপর্যয়ের কবলে পড়া বাংলাদেশ একসময় ৪৭ রানে হারিয়ে ফেলে টপ অর্ডারের চার উইকেট।সেখান থেকে দলের হাল ধরেন দুই অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম।দুজনে মিলে গড়েন ১০০ রানের জুটি।ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করে বড় শর্ট খেলতে গিয়ে সীমানা দড়ির পাশেই ধরা পড়েন সাকিব। এরপর এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকেন মুশফিকুর রহিম।তবে দলীয় ১৯০ রানে মুশফিকের বিদায়ের পর স্কোরবোর্ডে আর মাত্র ৩ রান যোগ না হতেই ৩৮.৪ ওভারে অলআউট হয় বাংলাদেশ।দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৪ রান আসে মুশফিকের ব্যাট থেকে।
পাকিস্তানের হয়ে হ্যারিস রউফ ৪ টি ও নাসিম শাহ ৩ টি উইকেট লাভ করেন।
আগামী ৯ই সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কার কলম্বোয় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।