দুপুর থেকেই মিরপুরে দফায় দফায় বৃষ্টি হলেও যথা সময়েই মাঠে গড়ায় বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ। টসে জিতে এদিন প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার দলপতি লিটন দাস।
তবে খেলা শুরুর মাত্র ৪ ওভার পরে আবারো নামে ঝুম বৃষ্টি। ফলে বন্ধ হয়ে যায় খেলা।বিকেল সাড়ে চারটায় আবার মাঠে নামেন খেলোয়াড়েরা। কিন্তু ততক্ষনে ম্যাচ চলে যায় কার্টেল ওভারে। ৫০ ওভারের খেলা নেমে আসে ৪২ ওভারে।
এদিন শুরু থেকেই বাংলাদেশের বোলাররা চেপে ধরে কিউই ব্যাটারদের। দলীয় ১৪ রানে মোস্তাফিজের বলে কট বিহাইন্ডে কাটা পড়েন ওপেনার ফিন অ্যালেন।তিনে নেমে বাওয়েস করেন মোটে এক রান।অ্যালেনের মতো তিনিও আউট হন মোস্তাফিজের বলে। ১৬ রানে দুই উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ডকে এরপর ম্যাচে ফেরান উইল ইয়াং ও হেনরি নিকলস।তাদের দুজনের ৯৭ রানের জুটিও ভাঙেন মোস্তাফিজ। দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসে ব্যক্তিগত ৪৪ রানে থাকা নিকলসকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন কাটার মাস্টার। আর অর্ধশতক পূর্ণ করে নাসুমের বলে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন ইয়াং ৫৮(৯১)। নাসুমের ওই একই ওভারে ফেরেন রাচিন রবীন্দ্র। কোনো রান করেই এলবিডব্লিউ আউট হন তিনি। এরপর টম বান্ডেল ও ম্যাককনসি জুটি গড়ার চেষ্টা করলে মিরপুরে আবারো শুরু হয় বৃষ্টি।
বেশকিছু সময় পর বৃষ্টি থামলে আবারো খেলার জন্য প্রস্তুত করা হয় মাঠ। তবে মাঠের প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ার সাথে সাথে বেরসিক বৃষ্টি আবারো হানা দেয়। যার ফলে পরবর্তী কিছু সময় পর ম্যাচ অফিশিয়ালরা ম্যাচটিকে পরিত্যক্ত বলে ঘোষণা দেন।
৩৩.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৬ রান তুলতে পেরেছিলো কিউইরা। বাংলাদেশের পক্ষে মোস্তাফিজ ৩টি ও নাসুম ২টি উইকেট লাভ করেন।
আসন্ন বিশ্বকাপ ও ইনজুরির কথা মাথায় রেখে এই সিরিজে গুরুত্বপূর্ণ কিছু খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিয়েছিলো বিসিবি। ফলে এই ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলো ইনজুরি থেকে ফেরা তামিম ইকবাল। মাহমুদউল্লাহ, সৌম্য, নুরুল হাসানরাও এদিন একাদশে ছিলেন।
আগামী ২৩শে সেপ্টেম্বর একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে।