বিপিএল এলেই মিরপুরের উইকেট থাকে আলোচনায়। বেশিরভাগ সময় মন্থর উইকেটটি হয়ে পড়ে বোলারদের সহায়ক। ব্যাটাররা স্ট্রোক খেলতে গেলেই পড়েন বিপদে। তবে এবার ভিন্ন কিছুর আশা করছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচকরা।
উইকেট নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই কাজ করছে বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটি। চেয়ারম্যান মাহবুব আনামের নেতৃত্বে কয়েকটি সভাও হতে দেখা যায়। মিরপুরের প্রধান কিউরেটর গামিনি ডি সিলভাকে নিয়ে তিন নির্বাচক উইকেট খতিয়ে দেখেন। বিপিএলে যেহেতু সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হয় মিরপুরেই, কয়েক ম্যাচ পর এখানে উইকেট হয়ে পড়ে চ্যালেঞ্জিং।
গত ডিসেম্বরে মিরপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটা টেস্ট ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এরপর এই মাঠ হয়েছে ঘরোয়া আসর বিসিএল ওয়ানডের ফাইনাল। বিসিএলের ফাইনাল হয়েছে এক পাশের উইকেট। মাঝের মূল উইকেটগুলো ছিলো ঘাসে ঢাকা।
নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন জানালেন, গত কয়েক মাসে খুব বেশি খেলা না হওয়ায় এবার উইকেট নিয়ে তারা আশাবাদী, ‘টি-টোয়েন্টিতে আমরা সব সময় এমন উইকেট চাই যেখানে রান হবে, ব্যাটাররা শট খেলতে পারবে। এবার তেমনও চাইছি। এই উইকেট বানাতে পর্যাপ্ত সময় ছিলো। আশা করছি ভালো উইকেট হবে। মাঠ যেতে বিশ্রাম পেয়েছে আশা করছি ভালো ক্রিকেট হবে।’
বিপিএলে প্রতিদিনই আছে দুটি করে ম্যাচ। হাবিবুলের শঙ্কা দিন গড়ালে দিনের শেষ ম্যাচের জন্য উইকেটে পড়তে পারে প্রভাব, ‘সমস্যা হচ্ছে দিনের শেষ খেলাটা শেষ হবে রাত ১০টায়। পরের দিন দুপুরে আবার ম্যাচ। শিশির থেকে শুকাতে উইকেট পর্যাপ্ত সময় পাবে না।’