চ্যাম্পিয়ন্স লীগের নতুন মৌসুম শুরুর রাতেই জয় পেয়েছে বার্সালোনা, ম্যানসিটি, পিএসজি।
বার্সার নতুন ঘরের মাঠ লুইস কম্পানিজ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে রয়েল এন্টওয়ার্পকে ৫-০ গোলের বড় ব্যবধানে হরায় কাতালুলিয়ারা।
ম্যাচের একাদশ মিনিটেই এগিয়ে যায় বার্সা। ডান পায়ের গড়ানো শটে কাতালানদের ১-০ গোলে এগিয়ে নেন ফেলিক্স। ম্যাচের দ্বিতীয় গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি বার্সেলোনাকে। ১৯তম মিনিটে ভলি করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পোলিশ স্ট্রাইকার লেভানদোভস্কি। ২২তম মিনিটেই ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় স্প্যানিশ ক্লাবটি। সফরকারীদের ডিফেন্ডার ইয়েলা বাতাইলিয়ার আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় তারা।
দ্বিতীয়ার্ধেও গোলের ধারা অব্যাহত রাখে জাভির দল। ৫৪তম মিনিটে বাঁ পায়ের তীব্র গতির শটে গোল করেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার গাভি। ম্যাচের ৬৬তম মিনিটে বার্সেলোনাকে ৫-০ গোলে এগিয়ে নেন ফেলিক্স।
অপর ম্যাচে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে রেড স্টার বেলগ্রেডের সাথে প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়ে সিটি।তবে বিরতির পর অবশ্য গোল শোধ করে ম্যাচে ফিরতে সময় নেয়নি ইউসিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। খেলা শুরুর ২ মিনিট পরেই হলান্ডের কাছ থেকে বল পেয়ে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন তারকা হুলিয়ান আলভারেজ। এই গোলে সমতা ফেরার পর একটু পর ব্যবধানও বাড়ায় সিটি। তবে ভিএআরের ফাঁদে বাতিল হয় সেই গোল। সে যাত্রায় গোল না হলেও ৬০ মিনিটে ঠিকই গোল পেয়ে যায় সিটি।
এবার আলভারেজকে রীতিমতো গোল উপহারই দেন রেড স্টার গোলরক্ষক। ফ্রি-কিক থেকে বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হওয়ায় সেই বল জড়ায় জালে। সিটি এগিয়ে যায় ২-০ গোলে। একটু পর ফোডেনের অ্যাসিস্ট থেকে গোল করে ব্যবধান ৩-১ করে ম্যাচ রেড স্টারের ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যান রদ্রি। এরপর ব্যবধান আরও বড় করার সুযোগ এসেছিল হলান্ডের সামনে। কিন্তু দিনটা যে তাঁর ছিলই না। দল জিতলেও তাই শেষ পর্যন্ত হতাশা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন হলান্ড।
অন্যদিকে ঘরের মাঠে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে ২-০ গোলে হারিয়েছে পিএসজি।গোল দুটি করেন এমবাপ্পে ও আশরাফ হাকিমি।