লিওনেল মেসির আগে তাকে ধরা হত বার্সেলোনার সবচেয়ে বড় তারকা। অনেকেই মেসিকে ভাবেন রোনালদিনহোর উত্তরসুরী। অনেকের কাছে ম্যাজিশিয়ান তিনি। অনেকের কাছে তিনি চোখের সৌন্দর্য। ক্লাব ফুটবলে চ্যাম্পিয়নস লীগ, জাতীয় দলে বিশ্বকাপ থেকে ব্যাক্তিগত জীবনে ব্যালন ডি অর, রোনালদিনহো নিজেকে পরিপুর্ণ করেছেন অনেকদিক থেকে।
এবার রোনালদিনহোর দেখানো পথেই আসছেন তার ছেলে। রোনালদিনহো পুত্র জোয়াও মেন্ডেস এবার মাতাতে আসছেন ইউরোপ। বাবার মত ব্রাজিলের একাডেমি থেকে শুরু, এরপর আসে বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাব বার্সেলোনায়। এবার রোনালদিনহো পুত্রের ঠিকানা বিশ্বের সেরা লীগ ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ।
জোয়াও মেন্ডেসের শুরুটা হয় ব্রাজিলের ক্লাব। ব্রাজিলের বিভিন্ন বিখ্যাত ক্লাব ঘুরে ২০১৮ সালে ১৩ বছর বয়সে ট্রায়াল দেন ক্রুজেইরো ক্লাবে। সেখানে ৬ বছরেত চুক্তি হয় তার। তবে ৪ বছর সে ক্লাবে থাকার পর আসেন বাবার রেখে যাওয়া বার্সেলোনায়। ট্রায়াল দেন বিশ্বের সেরা একাডেমিতে লা মাসিয়ায়।
এরপর বার্সেলোনা প্রেসিডেন্ট লাপোর্তার নজরে আসেন মেন্ডেস। এরপর তিনি যেকোন মুল্যেই রোনালদিনহো পুত্রকে চান নিজের দলে রাখতে। এরপর মেন্ডেসের সাথে ২ বছরের চুক্তি করে তারা। সেই থেকেই বার্সা দলে যাত্রা শুরু মেন্ডেসের। বাবার দেখানো পথেই যেন হাটছিলেন তিনি। নিয়মিত খেলছিলেন বার্সেলোনার একাডেমি লা মাসিয়ার হয়ে৷
তবে ১৯ বছরের মেন্ডেসকে এরপর নিজেদের ডেরায় ভেড়ায় ইপিএলের সাবেক ক্লাব বার্নলি। গত আসরে ইপিএল থেকে নেমে গিয়েছে বার্নলি। যে কারণে দল ভারী করতে বার্সেলোনা থেকে রোনালদিনহো পুত্রকে স্থায়ীভাবে কিনে নেয় তারা। এই সিজনে তারা দলে ভেড়ায় মেন্ডেসকে। তবে এই সিজনে বার্নলি নয়, স্কটিশ ক্লাবে যাচ্ছেন মেন্ডেস।
বাবার মত মেন্ডেস খেলেন উইঙে। বার্সেলোনার হয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জয়ের ম্যাচেও ছিলেন দলের অংশ। এবার স্কটিশ লীগে যোগ দিচ্ছেন এই ব্রাজিলিয়ান। সেখানে একই মালিকানার দল ডানডিতে যোগ দিচ্ছেন মেন্ডেস। সব ঠিক থাকলে ১৯ বছর বয়সেই সিনিয়ার লেভেলে ইউরোপ মাতাবেন মেন্ডেস।
বাবা ছিলেন মহাসাগরের মত। মেন্ডেসের যাওয়ার অনেক পথ বাকি। হয়ত পরবর্তীতে বাবার মত হতে পারবেন না মেন্ডেস, তবে এর কয়েক ভাগ হলেও উপকৃত হবে ব্রাজিল দল। একই সাথে বাবার ক্যারিয়ারটা আরো ভালো হতে পারত। তবে শেষেরদিকে নানা ভুলে হোচট খান রোনালদিনহো। কে জানে সেই ভুল থেকেই শিক্ষা নিয়েই হয়ত আরো ভালো করবেন মেন্ডেস। সেটাই প্রত্যাশা থাকবে সবার।