বর্তমানে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা ম্যাচ মানেই চরম উত্তেজনা বিরাজমান। ২০১৮ এর নিদহাস ট্রফিতে নাগিন নাচ উদযাপনকে কেন্দ্র করে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি হয়। একই টুর্নামেন্টে ইসরু উদানার করা নো বল নিয়ে মাঠ এবং মাঠের বাইরে নানান পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। অধিনায়ক সাকিব খেলোয়াড়দেরকে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে আসতে বলেন। শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ছক্কা মেরে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। তারপর থেকেই বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা মুখোমুখি হলে দর্শকদের মধ্যে বাড়তি উন্মাদনা কাজ করে।
এবার টাইমড আউট নিয়ে টাইগার ও লংকানদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার নতুন আরেকটি অধ্যায় রচিত হল। বিশ্বকাপের ম্যাচে এন্জেলো ম্যাথিউসের সময়মতো ক্রিজে এসে বল ফেইস করার জন্য প্রস্তুত না হওয়ায় টাইমড আউটের জন্য আবেদন করেন সাকিব। পরবর্তীতে টিভি আম্পায়ার ম্যাথিউসকে আউট বলে ঘোষণা করেন।যদিও ম্যাথিউস দাবি করেন হেলমেটে ত্রুটির কারণে তার এই দেরি করা। তবে তা কানে তোলেননি সাকিব। এরপর থেকেই ক্রিকেটমহলে এই নিয়ে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা। এমনকি খেলার মাঠে খেলোয়াড়রাও এই ঘটনার পর আরও বেশ কিছু ঘটনার জন্ম দিয়েছেন।
শ্রীলঙ্কার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথেউজ টাইম্ড আউট হওয়ার পর থেকেই শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারেরা ক্ষিপ্ত ছিলেন। সেই ছাপ পড়ল বাংলাদেশ ব্যাট করতে নামার পর। তখন লিটন দাস ব্যাট করছিলেন। তৃতীয় ওভারে পুল শট মারতে গিয়ে পেশিতে টান লাগে লিটনের। মাটিতে বসে পড়েন তিনি। মাঠে আসেন ফিজিয়ো। সুস্থ হয়ে উঠে আবার ব্যাট করতে শুরু করেন লিটন। কিন্তু কয়েক ওভার পর আবার একই ঘটনা। আবার মাঠে আসেন বাংলাদেশ দলের ফিজিয়ো। বার বার এমন ঘটতে থাকায় বিরক্ত হন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারেরা। ম্যাথেউজের নেতৃত্বে শ্রীলঙ্কার বাকি ক্রিকেটারেরা বার বার কথা বলতে শুরু করেন আম্পায়ার মারিয়াস ইরাসমাসের সঙ্গে। তাঁকে সময়ের কথা মনে করিয়ে দেন ম্যাথেউজেরা।
বেশ কয়েক বার বাংলাদেশের নাজমুল হোসেন শান্ত এবং শ্রীলঙ্কার সাদিরা সমরবিক্রমকে মাঠের মধ্যে তর্কাতর্কি করতে দেখা যায়। শাকিব আল হাসান ব্যাট করতে আসতেই বল হাতে নেন ম্যাথেউজ। শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডারকে দেখা যায় শাকিবকে কিছু বলতে। বাংলাদেশ অধিনায়ক যদিও কিছু বলেননি। তবে শুরুর দিকেই ম্যাথেউজের কাছে সুযোগ ছিল শাকিবের উইকেট তুলে নেওয়ার। কিন্তু ক্যাচ ফেলে দেন আশালঙ্ক। যদিও শেষ পর্যন্ত শাকিবের উইকেটটি ম্যাথেউজই নেন। তাঁকে আউট করিয়ে হাত ঘড়ি দেখার উদযাপন করেন ম্যাথিউস।
ম্যাচ শেষেও বিতর্কের রেশ থেকে যায়। দুই দলের খেলোয়াড়েরা হাত মেলাননি। সাধারণত ম্যাচ শেষে আম্পায়ার এবং দুই দলের খেলোয়াড়েরা একে অপরের সঙ্গে হাত মেলান। সেটাই রীতি। কিন্তু সোমবার আম্পায়ারদের সঙ্গে খেলোয়াড়েরা হাত মেলালেও বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারেরা একে অপরের বিরুদ্ধে হাত মেলাননি।