শ্রীলঙ্কার ইনিংসের ২৫তম ওভারে ঘটা চমকপ্রদ ঘটনা। সাদেরা সামারাবিক্রমা আউট হওয়ার পর ক্রিজে যান ম্যাথিউস। ক্রিজে গিয়ে গার্ড নেওয়ার পরই দেখা যায় তার হেলমেটে কিছু একটা সমস্যা হচ্ছে। সেটা ঠিক করতে নেন সময়, আরেকটি হেলমেট আনতে লাগে আরও সময়। এরপর স্ট্যান্স নিলে টাইমড আউটের আবেদন করেন সাকিব।
ম্যাথিউস তখন তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, হেলমেটে সমস্যা থাকায় দেরি হচ্ছিল। দূর থেকে মনে হচ্ছিল, সাকিব সেটা মানতে রাজী হননি। বেশ কিছুটা সময় নিয়ে চলে আলোচনা। ফিল্ডিং অধিনায়ক ছাড় না দেওয়ায় আম্পায়ার এরাসমস ম্যাথিউসকে টাইমড আউট দিতে বাধ্য হন।
ক্ষুব্ধ হয়ে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে হেলমেট ছুঁড়ে মারেন তিনি। এই ঘটনায় উত্তপ্ত পুরো ক্রিকেট দুনিয়া। বেশিরভাগ সাবেক ক্রিকেটার স্পিরিটের বিরুদ্ধে যাওয়ার সমালোচনা করছেন সাকিব ও বাংলাদেশের।
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েই ম্যাথিউস বলেন এই ঘটনা রীতিমতো কলঙ্কজনক, ‘আমি কোন ভুল করিনি। দুই মিনিট ছিল আমার ক্রিজে গিয়ে তৈরি হতে। কিন্তু আমার ইকুইপমেন্ট গড়বড় হয়ে গিয়েছিল। অবশ্যই সাকিব ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য এটা কলঙ্কজনক যদি তারা এভাবে ক্রিকেট খেলতে চায়।’
ম্যাথিউস মনে করেন ২ মিনিট সময়ও পার করেননি তিনি। গিয়ে তার হেলমেটে সমস্যা হচ্ছিল। আম্পায়ার সেটা নজর না দেওয়ায় কাণ্ডজ্ঞান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি, ‘আমি যদি দেরি করতাম, যদি দুই মিনিট পার হয়ে যেত তাহলে কথা ছিলো। আইন বলছে দুই মিনিট পার হলে এটা প্রযোজ্য হবে। আমার হেলমেট ভেঙে যাওয়ার পরও ৫ সেকেন্ডে মতন বাকি ছিল। আম্পায়ার আমাদের কোচকে বলল আমার হেলমেট ভেঙেছে তারা সেটা দেখেননি। এটা কাণ্ডজ্ঞানের বিষয়। মানকাডিং বা অবস্ট্রাকটিং ফিল্ড আউট নিয়ে আমার কোন আপত্তি নেই। কিন্তু এক্ষেত্রে আমি সময়ের আগে গিয়েছি, এরপর আমার ইকুইপমেন্ট কাজ করছিল না। আমি ইচ্ছাকৃতভাবে কোন সময় ক্ষেপণ করিনি। এটা একদমই কলঙ্কজনক।’